ঠাকুরগাঁওয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে নাতনিকে ধর্ষণের চেষ্টা, দাদার বিরুদ্ধে মামলা
ঠাকুরগাঁওয়ে ভূল্লীতে টাকার লোভ দেখিয়ে নাতনিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দাদার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীর বয়স ১২ বছর। সে বড়গ্রাম আলিম মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত আব্দুল খালেক মঙ্গুলু (৫০) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানার বড়গাঁও ইউনিয়নের জাহান পাড়া গ্রামের মৃত. খরদ আলীর ছেলে।
এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ভূল্লী থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে।
সোমবার (২২ মে) দুপুরে ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানান, ১২ বছরের মাদ্রসা ছাত্রী প্রতিদিন সকালে মাদ্রাসায় যাইতেন। যাওয়া আসার সময় প্রতিবেশী সম্পর্কের দাদা আব্দুল খালেক মঙ্গুলু প্রায় মেয়েটিকে টাকার দেওয়ার চেষ্টা করতেন এবং বিভিন্ন ভাবে টাকার লোভ দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিতেন।
গত সোমবার মাদ্রাসা ছুটি শেষে বাড়ী যাওয়ার সময় কৌশলে আব্দুল খালেক মঙ্গলু তার বাড়ীর নিজ ঘরে ডেকে নেয়। এ সময় চার শত টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেন এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। পরে জোরপূর্বক ভাবে পায়জামা খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভূক্তভোগী নাতনি কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে দৌড় দিয়ে বাড়ীতে গিয়ে তার মাকে ঘটনার সবকিছু খুলে বলেন। পরে মেয়েটির বাবা ঘটনার খবর শুনে ঢাকা থেকে বাড়ী এসে আব্দুল খালেক মঙ্গলুকে আসামী করে ভূল্লী থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মঙ্গুলু পলাতক।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।
ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), আতিকুর রহমান জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় প্রতিবেশী সম্পর্কে দাদা আব্দুল খালেক মঙ্গুলু নামে একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন