ঠাকুরগাঁওয়ে বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে বের করে দরজায় তালা ঝোলানোর, সত্যতা পাননি ইউএনও

সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা দিয়েছেন চেয়ারম্যান এমন সংবাদ প্রকাশের পরে আলোড়ণ সৃষ্টি হয় পুরো জেলা জুরে। সর্বস্তরের মানুষের মুখে একটাই কথা চলতে থাকে যে, একজন জনপ্রতিনিধি বা চেয়ারম্যান এমন অমানবিক কাজ করতে পারেন না।

এ সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল (ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সালন্দর শান্তিনগর এলাকায়) পরিদর্শণে যান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন।

ঘটনাস্থলে ইউএনও যাবার আগে থেকেই উল্লেখিত বাড়িটিতে সেই দম্পতি অবস্থান করছিল। ইউএনও যাবার খবর পেয়েই তারা নিমিষেই গাঁ ঢাকা দেন। এসময় বাড়ির ভেতরে গিয়ে দেখা যায় চুলার ওপর শিমের তরকারি রান্না চড়িয়েই কোথাও লুকিয়ে যান তারা।

বাড়িতে কারোর উপস্থিতি কিছুক্ষণ আগেও ছিল এখন নেই এমন পরিস্থিতিতে ইউএনও আশেপাশের প্রতিবেশিদের জিজ্ঞেস করেন আলোচিত সে সংবাদের বিষয়ে। আদতে এমন কোন ঘটনা সেখানে ঘটেইনি বলে প্রতিবেশিরা জানান। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ বানিয়ে এমন মিথ্যে গুজব ছড়িয়েছে বলেও প্রতিবেশিরা জানান।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান লিটন জানান, ইউএনও সাহেব আমাকে মুঠোফোনে জানান যে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তিনি সরেজমিন পরিদর্শণে আসবেন এবং সত্যটা উদঘাটন করবেন। আমি যেনো উপস্থিত থাকি।

সে কথা মোতাবেক আমি এসেছি এবং ইউএন মহোদয় এসে প্রকাশিত সংবাদের উল্টো সত্যটাই জানতে পারেন এবং তা ক্রসচেকও করেন তিনি বিভিন্ন প্রতিবেশির নিকট থেকে। আর হালিম ও জোসনা নামের যে দম্পতিকে বাড়ি থেকে বের করে দেবার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে , আমি তাদের চিনিইনা। এ ঘটনার জন্যে আমি আইনি পদক্ষেপ নেবো।

সরেজমিন পরিদর্শণের সময় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) বেলায়েত হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তথ্য বিভ্রাটের একটা ঘটনা এখানে ঘটেছে। আমার বোঝা হয়ে গেছে এখানে কি হয়েছে আর কারা করিয়েছে। আমি অতিসত্তর এ রিপোর্টটি লিখিত আকারে জেলা প্রশাসক মহোদয় এর নিকট পেশ করবো।