ঠাকুরগাঁওয়ে মহাধুমধামে বৃক্ষ বট পাকুড়ের বিয়ে

ঠাকুরগাঁওয়ে মহাধুমধামে বৃক্ষের বিয়ে হয়েছে। বিয়েতে ছিলনা কোন কমতি, গায়ে হলুদ, বাদ্য-বাজনা, উলুধ্বনি, রান্না ও অতিথি আপ্যায়নসহ খ্রিস্টান শাস্ত্রমতে সব আয়োজনই ছিল। তবে এই বিয়েতে বর-বধূ ছিল বৃক্ষ।

ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোবিন্দ নগরে।
শাড়ী পড়ানো হয় বউ বটেশ্বরী ও ধুতি-পাঞ্জাবী পড়ানো হয়েছিল বর পাকুড়কে।

বিয়ে দুপুরে তার আগেই খ্রিষ্টান শাস্ত্রমতে বাদ্য-বাজনা আচার পালন, বরযাত্রীর আগমণ ও অতিথি আপ্যায়ন সবকিছুই পালন করা হয়েছে নিয়ম মেনে।

সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোবিন্দ নগর জলেশ্বরিতলা এলাকার ফুলতি রানীর নিজ উদ্যোগে এ ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন করা হয়। এই বিয়ের বউ বটেশ্বরীর বাবা হিসেবে কন্যাদান করেছেন সুশীল বিশ্বাস আর ছেলে পাকুরের মা হয়েছিলেন ফুলতি রানী।
বিয়ে উপলক্ষে বাড়িটিতে শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এরপরে খ্রিস্টান শাস্ত্র মতে পালন করা হয় বিয়ের আচার। গাছেদের গায়ে হলুদ সহ সব প্রকার আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করা হয়।

এরপর দুপুরে বিসিক এলাকায় রাস্তার পাশে শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। সাধারণ বিয়ের মতই বরকে ধুতি-পাঞ্জাবী ও কনেকে বধু সাজে পরিয়ে দেওয়া হয় শাড়ী, পরে তাদের সাজিয়ে দেওয়া হয় বিয়ের সাজে।

খ্রিস্টান মতে আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ হলেই শেষ হয় এই বিয়ে। বিয়ে দেখতে আসা আদুরি সিংহ জানান বট ও পাকুরের বিয়ে মানেই মঙ্গল আগমন। আর তাই অতি আগ্রহে এবং মঙ্গল কামনায় এই বিয়ে দেখতে এসেছি।
এদিকে অনামিকা মহন্ত জানান এই ধরনের বিয়ের কথা শুনেছি। কিন্তু কখনোই এ ধরনের বিয়ে দেখা হয়নি। তাই এই বিয়ে দেখতে আশা। বট ও পাকুরের এই বিয়েতে কোনও মঙ্গল হবে কি না জানি না, তবে ধর্ম মতে দেওয়া এই বিয়েতে আমি থাকতে পেরে অনেক আনন্দিত।

এই বিষয়ে বিয়ের আয়োজক ফুলতি রানী বলেন আমার বাড়ির ছাদে দুটি গাছ হয়েছিল, তখন আমি গাছগুলোকে নিয়ে এসে রাস্তার পাশে পুতে দেই, তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল গাছগুলো যদি একসাথে বড় হয় তাদেরকে বিয়ে দিব। গাছগুলো বড় হয়েছে তাই তিনি ধুমধাম করে অন্যান্য বিয়ের মত গাছেদের বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন।