ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ মেম্বারের অভিযোগ
মেম্বারদের মূল্যায়ন না করা, সম্মানী ভাতা প্রদানে গড়িমসি, সরকারি উপকারভোগী বাছাইয়ে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ করার পায়তারা ও এককভাবে পরিষদ চালানোসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমুর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী আফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিষদের তিন নারী সদস্য সহ ১১ জন মেম্বার।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা। অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়েছে।
বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রোজিনা পারভিন, সামি আরা বেগম, সাধিকা বালা, ফারুক হোসেন, শাহজাহান আলী-১, বাবুল হক, আমিনুল ইসলাম, রেজাউল করিম, গোলাম রব্বানী, আনোয়ার হোসেন এবং শাহজাহান আলী-২ এর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত বছরের (২০২১) ২৮ নভেম্বর নির্বাচিত হওয়ার পর হতে বৈরচুনা ইউনয়নের নির্বাচিত সদস্যদের (মেম্বার) পরিষদের চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমু কোন প্রকার মুল্যায়ন করছেন না। চেয়ারম্যান তার নিজ ইচ্ছা মত এককভাবে সরকারি কার্যক্রম সহ ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব খাতের টাকা পরিষদের জমা না করে আত্নসাত করার পায়তারা করছেন। বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় বাশতলী খেয়াঘাট ইজারার তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকা চেয়ারম্যান একাই গ্রহণ করেছেন। পরিষদের কার্যক্রম শুরুর দিকে সদস্যদের সম্মানি ভাতা বাবদ প্রতিজনকে বার হাজার টাকা করে প্রদান হরা হলেও এরপর আর কোন ভাতা প্রদান করা হয়নি।
অথচ গত বছরের জানুয়ারি হতে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ পাঁচ লাখ নিরানব্বই হাজার চার’শ পয়ষট্টি টাকা আয় করেছেন। যার কোন সঠিক হিসাব পাচ্ছেন না তারা। ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল ইউমেন বেনেফিট) কার্যক্রমের আওতায় ১ জানুয়ারি ২০২৩ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ চক্রের উপকারভোগী বাছাই/নির্বাচন, খাদ্য ও কার্ড বিতরণ কাজ চেয়ারম্যান একাই করছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ওয়ার্ড কমিটিকে না জানিয়েই কার্যক্রম করছেন। এছাড়াও সরকারি ভাবে উপজেলা পরিষদ হতে বরাদ্দকৃত বিভিন্ন ধরনের মালামাল তিনি একাই উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন। এমন অন্যায় ও বেআইনী কর্মকান্ডের বিষয়ে সদস্যাগণ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সদস্যদের উপর ক্ষীপ্ত হন এবং অসদাচরণ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমু জানান, সব কিছুই নিয়ম মত করা হচ্ছে। তারা অভিযোগ দিয়েছেন এতে আমার করার কিছুই নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন, মেম্বারদের একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকা গেছে। ফিরে আসলে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন