ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। তীব্র শীত আসার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ পুরাতন লেপ-তোশকগুলো সংস্কার করে নিচ্ছেন। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা। কাজ করে যাচ্ছেন দিনরাত।

এ উপজলোর পৌর শহরসহ গ্রামের হাট-বাজারে মানুষ তীব্র শীতের আশঙ্কায় নতুন লেপ-তোশক তৈরি করতে ভিড় করছেন। এসব পণ্য বছরের অন্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুন বেড়ে যায়। কম্বলের তুলনায় বাজারে লেপের দাম কম হওয়ায় চাহিদা একটু বেশি। তুলা পিটিয়ে তা রং-বেরঙের কাপড় দিয়ে তৈরি লেপ-তোশকের কাভারে মুড়িয়ে সুই-সুতার ফোঁড়ে তৈরি করছেন কারিগরেরা।

পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তা সংলগ্ন লেপ-তোশক তৈরির কারিগর জুবায়ের বলেন, ‘বিত্তবানরা শীতের আগেই নতুন লেপ ও তোশক তৈরি করেন। অনেকেই পুরোনো লেপ-তোশকের কভার পাল্টিয়ে নিচ্ছেন। অগ্রহায়ণ মাসে এ সময় রাতে শীত পড়তে শুরু করায় কাজের চাপ অনেক বেড়েছে।

উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের আজলাবাদ গ্রামের ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লেপ-তোশকের দাম একটু বেশি। গত এক সপ্তাহ থেকে শীত অনুভূত হওয়ায় লেপ কিনতে এসেছেন। তবে এবারে লেপের জন্য তুলার দাম গত বছরের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।

পৌর শহরের লেপ-তোশকের দোকান মালিক শুকরু মোহাম্মদ জানান, সাদা তুলা প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা এবং রঙিন তুলা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর সাদা তুলা ৬৫ টাকা এবং রঙিন তুলা ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তুলার বাজার ধরে ৫ থেকে ৬ হাত একটি তোশকের খরচ পড়ে ১ হাজার ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৫ থেকে ৬ হাত একটি লেপের খরচ পড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।