ঠাকুরগাঁওয়ে আবারও জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টায় ৭ জন গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লীতে আবারও জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাদাবীর মামলায় ইউপি সদস্যের বাবাসহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে জানান ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), একে এম আতিকুর রহমান।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ভূল্লী থানার ৫ নং বালিয়া ইউনিয়নের কিসামত শুখানপুকুরী গ্রামের মৃত অমিক্ষা বর্মন এর ছেলে শৈলেন্দ্র নাথ রায় (৫২) দীর্ঘদিন থেকে ৮৮ শতক জমি ভোগদখল করে আসতেছেন।

শুক্রবার সকালে আসামিরা জোর পূর্বক দখল করতে যায় এবং তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এসময় চাঁদা না দিতে পারায়।
শৈলেন্দ্র নাথ এর ছেলে ও ভাতিজাকে মারপিট করে এবং ভয়ভীতি প্রদান করে। পরে শৈলেন্দ্র নাথ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামী করে ভূল্লী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্যের বাবা আহসান হাবীব (৬৫), স্থানীয় কিসামত শুখানপুকুরীর বাসিন্দা মৃত কালঠু বর্মন এর ছেলে অমল চন্দ্র বর্মন (৪২), মৃত সুধির চন্দ্র বর্মন এর ছেলে দিপক চন্দ্র বর্মন (২৬), মৃত রাম বাবু এর ছেলে মহেন্দ্র নাথ বর্মন (৬৫), মৃত কালঠু রাম বর্মন এর ছেলে মোটাই চন্দ্র বর্মন (৪২), মৃত জতিন্দ্র নাথ বর্মন এর ছেলে পবিত্র রায় (৩৫), জতিন্দ্র নাথ বর্মন এর ছেলে স্বপন চন্দ্র রায় (২৮)।

মামলার বরাতে ওসি একেএম আতিকুর রহমান আতিক বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কিসামত শুখানপুকুরী গ্রামে গ্রেপ্তারকৃত ৭জনসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের একদল লোক শৈলেন্দ্র নাথ রায় এর ৮৮ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করতে যায়। এসময় তারা জোরপূর্বক ভাবে ওই জমিতে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে। ওই সময় মামলার বাদী জমি দখল করতে বাঁধা দিলে তারা বাদীর কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।

চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা মামলার বাদী শৈলেন্দ্র নাথ ও তার ছেলে এবং ভাতিজাকে মারপিট করে এবং ভয়ভীতি দেখায়।

এ সময় বাদি থানায় হাজির হয়ে মামলা করলে অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্যের বাবাসহ ৭ জনকে আটক করে পুলিশ।

ওসি একেএম আতিকুর রহমান আতিক বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এরপর মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।