ঠাকুরগাঁওয়ে সাইক্লিং খেলোয়াড় জুঁই এর সময়ের দাবী একটি ভালো সাইকেল- অশ্বাস মেয়রের

সাধারণ সাইকেল আর দারিদ্র্যতার কারনে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি জুঁই, অবশেষে ভালো মানের একটি সাইকেল নিতে সহযোগিতা করলেন রানীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান। থেমে থাকেনি জুঁই। একটি ভালো সাইকেল পেলে সাইক্লিং এ বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারবে এমন প্রত্যাশা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জুঁই আকতারের। উপজেলার বাডডাঙ্গী গ্রামের জবিবর রহমানে মেয়ে।

জুঁই এ বছর শীতকালীন মাধ্যমিক পর্যায়ে আন্তঃস্কুল মেয়েদের বাইসাইক্লিং প্রতিযোগিতায় গত ৩ মার্চে জেলা চ্যাম্পিয়ন হয় জুঁই। জেলা সাইক্লিং চ্যাম্পিয়ন হবার পর জুঁই গত ১১ মার্চ রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে বাইসাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু তার সাইকেলটি একটি সাধারণ মানের (হিরো রয়েল) হওয়ায় সে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও শেষ পর্যায়ে সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি। অপরদিকে অন্য প্রতিযোগিদের বাইসাইকেল গুলো দামি উন্নতমানের ছিল। এমন হতাশায় তার দারিদ্রতাকে নিভৃতে দায়ী করে চলছে জুঁই নামের এ নারী সাইক্লিং খেলোয়াড়।

এদিকে মঙ্গলবার( ১১ অক্টোবর) দুপুরে রাণীশংকৈল পৌর মেয়রের কার্যালয়ে এসে জুঁই তার প্রতিযোগিতার বিষয়ে একটি ভাল মানের সাইকেল কিনতে না পারা অপরদিকে বাবার দারিদ্রতার কথা বলেন।

মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান তার দারিদ্র্যতার কথা শুনে বিষয়টি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে খেলোয়াড় জুঁইকে নগদ পনেরো(১৫) হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা দেন। এসময় রাণীশংকৈলের রাঙ্গাটুঙ্গী নারী ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, পৌরপ্যানেল মেয়র মতিউর রহমান, কাউন্সিলর জুয়েল রানাসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে মেযর বলেন, ‘বিভাগীয় পর্যায়ে সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় একটি ভালোমানের সাইকেল না থাকার কারণে জেলা চ্যাম্পিয়ন জুঁই তার কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার এ সামান্য সহযোগিতা যদি তার কাজে লাগে, আমিও গর্বিত হবো। ‘

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জেনেছি। আমার পক্ষ থেকেও তাকে(জুঁই)কে সহযোগিতা করা হবে।