সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বাজারে চলছে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের মহোৎসব

দেশের সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ির ওজন বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় মৎস্য আড়ত, মৎস্য ডিপো গুলোতে চলছে অপ দ্রব্য পুষের মহোৎসব। এতে করে চিংড়ি রপ্তানিতে ধ্বস নামার আশঙ্কা বিরাজ করছে।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের উজিরপুর বাজারের মৎস্য আড়ত ও মৎস্য ডিপোগুলোতে গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১ টার সময় এমনই পুষের মহোৎসব সাংবাদিকদের চোখে পড়লে তাৎক্ষণিক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল ইসলামকে ফোনে জানানো হয়।

তিনি তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা সদর হতে এক ঘন্টা পরে উজিরপুর বাজারে পৌঁছার আগেই অসাধু ব্যবসায়ী, ডিপো মালিকরা অপদ্রব্য পুশকৃত মাছ ভ্যান ট্রাকে ভরে দ্রুত লাপাত্তা হয়ে যায়। অবস্থাটা এমনই পুলিশ আসিবার পূর্বেই চোর পালিয়ে গেল।

শুধু উজিরপুর বাজার না এইভাবে উপজেলার সর্বত্র চলছে পুশের মহোৎসব। তবে এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান পুশ বিরোধী অভিযান এবং পুশ প্রতিরোধ করতে তাদের চেষ্টার কোন কমতি নাই। তবে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের নানা সীমাবদ্ধতার কথা জানান। কারণ হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এমনিতে জনবল সংকট তার উপর আমাদের লজিস্টিক সাপোর্ট নাই ইচ্ছা করলেও আমাদের নিজস্ব গাড়ি না থাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। তাছাড়াও অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশের নানা কারণে সংকট দেখা দেয়।

মঙ্গলবার সরেজমিনে কালিগঞ্জের উজিরপুর বাজারে চাঁদখালি গ্রামের হামিদ মোড়লের পুত্র মৎস্য ব্যবসায়ী মিনহাজুল মোড়ল এবং আহসান গাজীর পুত্র আবেদীন গাজী, খোকা, কুচে সালামের মৎস্য আড়তে গেলে দেখা যায় দোকানের শাটার বন্ধ করে ভিতরে বসে সাগু, ভাতের মাড়, ইনজেকশনের সিরিজ দিয়ে বাগদা চিংড়িতে পুশ করা হচ্ছে। সাংবাদিক দেখে মালিকরা ম্যানেজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ওই সময় তারা ব্যর্থ হয়ে দ্রুত মাছ ককসিটি ভরে ভ্যান যোগে দ্রুত নিয়ে যেতে দেখা যায়।

অচিরেই এই পুশ বন্ধ না হলে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি শিল্পে বিপর্যয় ঘটবে এবং মাছ রপ্তানিতে বিদেশি বাজার হারানোসহ বৈদেশিক মুদ্রা বা সুনাম অর্জন করা সম্ভব হবে না।