‘ডর করে এই বুঝি ভাইঙা পড়ল’

দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-পাগলা আঞ্চলিক মহাসড়কের মজিদপুর নামক স্থানের বেইলি সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিদিনই পারাপার হচ্ছে শত শত যানবাহন। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

জগন্নাথপুর উপজেলাবাসী জেলা সদর সুনামগঞ্জের সঙ্গে এটি যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাকসহ হালকা ও ভারী সব ধরনের যানবাহন এ বেইলি সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল করে।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বেইলি সেতুটি দু’পাশের অ্যাপ্রোচ দেবে গেছে এবং পাটাতন রয়েছে নড়বড়ে অবস্থায়। সেতুটির উপরের রেলিং থেকে নাট-বল্টু খুলে স্টিলের লম্বা বর্গা ঝুলে রয়েছে। শুধু তাই নয় খুলে গেছে নিচের পাটাতনেরও নাট-বল্টু । ফলে এ সেতু দিয়ে যানবাহন যাতায়াতকালে বিকট শব্দ করে সেতুটি কেঁপে উঠে।

এই সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করা লেগুনা চালক রিয়াজ আহমদ বলেন, মজিদপুর বেইলি সেতু দিয়ে যানবাহন নিয়ে চললেই কম্পন শুরু হয়। অনেক শব্দ করে। যাত্রীরা ভয়ে থাকে। এসময় তিনি সেতুটির অবস্থা জানাতে এভাবেই বললেন, ‘গাড়ি নিয়ে উঠলেই সেতু কাঁপে, ডর করে এই বুঝি ভাইঙা পড়ল’।

আরেক চালক সিরাজ উদ্দিন বলেন, ব্রিজের ওপর গাড়ি উঠলে মনে অয় ভূমিকম্প শুরু অইছে। আমরা তো ভয়ে থাকি কোনো সময় ব্রিজ ভেঙে গাড়ি নিয়ে নিচে পড়ি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন সাজাদ জানান, জগন্নাথপুর-পাগলা আঞ্চলিক মহাসড়কের মজিদপুর বেইলি সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ, স্থায়ীভাবে নির্মিত না হলে বড় বিপদ হতে পারে। বর্তামানে বেইলি ব্রিজটি খুব বিপজ্জনক অবস্থায় আছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জানান, মজিদপুর বেইলি সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুনামগঞ্জ অফিসকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, পাগলা-জগন্নাথপুর সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ সাতটি সেতু স্থায়ীভাবে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।