জামিন না দিয়ে ডিআইজি মিজানকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

অবৈধ সম্পদের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানের আগাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আগাম জামিন চাইতে আজ হাইকোর্টে হাজির হন দীর্ঘ দিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে থাকা ডিআইজি মিজান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেন, ‘ডিআইজি মিজান পুলিশের ইমেজ নষ্ট করেছে। তাই তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হলো। শাহবাগ থানা পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যাবে।’

পরে শাহবাগ থানা পুলিশ আদালতে উপস্থিত হয়ে ডিআইজি মিজানকে থানায় নিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে রোববার আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন ডিআইজি মিজান।

দুদকের আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান রোববার গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়েদুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে ডিআইজি মিজানের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।

এর আগে গত ২৫ জুন রাতে ডিআইজি মিজানকে বরখাস্ত করে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়।

উল্লেখ্য, হু নাটকীয়তার পর গত ২৪ জুন ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর তিন আসামি হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে করা হয়। দুদক পরিচালক মনজুর মোরশেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার পর দুদক টিমের পক্ষ থেকে ডিআইজি মিজানসহ চার আসামির বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। এর পর পরই তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।