ডিএনসিসি নির্বাচন ইভিএমে করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচন ইভিএম’র মাধ্যমে করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেটা সম্ভব না হলে ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালটপেপার পাঠানোর পক্ষে মত তাদের। তারা বলছেন, এতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। মাত্র এক বছরের জন্য এই পদের নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর বিচক্ষণতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। জাতীয় নির্বাচনের ডামাডোল শেষ হতে না হতেই ঢাকা উত্তরের উপ-নির্বাচনের তফসিল দিলো নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ঢালাও অভিযোগ বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের। বিজয়ী মহাজোটও বলছে কোনো দেশেই শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচনের নজির নেই। এমন বাস্তবতায় নির্বাচনকে পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত করতে বেশকিছু পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আগের নির্বাচনের সূত্র ধরে, ওই নির্বাচন কেমন হবে তা বলা মুশকিল। আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মক চেষ্টা করবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটা সম্পন্ন করতে।’

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও গবেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ব্যালট পেপার সকালে কেন্দ্রে পাঠানো হোক। প্রয়োজনে সেখানে নির্বাচন সকাল ৯টা-৫টা পর্যন্ত হোক। আমি মনে করি, এখানে ১০০ ভাগ ইভিএম এখানে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজেদের অবজারভার দিতে হবে। প্রয়োজনে আরপিও মোতাবেক তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারও তাদের দিতে পারেন’।

আর ভোটারদের ভরসা আদায় করতে প্রতীকের এই নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে সতর্ক থাকতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান তাদের।

এদিকে দীর্ঘ বিরতির পর নগরপিতা নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই ভোটারদের মাঝেও। তারা চায় সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।

ঢাকা উত্তরের প্রথম মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হয় এই সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ।