বাড়ছে ডেঙ্গুর তীব্রতা : সাড়ে ৮ ঘণ্টায় প্রাণ গেল ৪ জনের

দেশজুড়ে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর তীব্রতা আশঙ্কাজনক গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সোমবার সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ বিগত সাড়ে আট ঘণ্টায় দুই হাসপাতালে মারা গেছেন চারজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ৬০১ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন লিটন হাওলাদার (২৫) নামে এক যুবক মারা যান। তিনি গত ২৭ জুলাই ঢামেকে ভর্তি হন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল। পেশায় প্রাইভেটকার চালক লিটন ঢাকায় টিকাটুলিতে থাকতেন।

ঢামেকের মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান ভুইয়া লিটনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে মারা যান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. নুরুল আমিনের স্ত্রী ফারজানা হোসেন (৪৩)। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার ঢামেকে ভর্তি হন ফারজানা। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ বলে জানা গেছে।

বিষয়টি ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসির উদ্দিন নিশ্চিত করেন।

আর এনিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসাধীন নয়জনের মৃত্যু হলো। গত জুন মাসে একজন এবং জুলাই মাসে এখন পর্যন্ত আটজন মারা যান। ঢামেকে আরও ৫৯৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন।

এছাড়া বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা দুজন ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, আসলাম খান (২৪) নামের এক যুবক সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে মারা যান। সোহেল (১৮) নামের আরেক তরুণ ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে মারা যান।

অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুসারে, এ বছর দেশের মোট ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে চলতি জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন। মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা) ১ হাজার ৯৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮২৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।