ঢাকার সড়কে আতঙ্কের নাম মোটরসাইকেল!

ট্রাফিক আইন মেনে চলাচল না করায় রাজধানীতে বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা। গবেষকরা বলছেন, সড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোর পারস্পরিক প্রতিযোগিতা ও আইন ভাঙার প্রবণতা রোধ করতে না পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরসাইকেল অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শও তাদের। বিআরটিএর দাবি, সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

কোনো সংকেত বা বাধা দিয়ে আটকে রাখা দায় রাজধানীর সড়কে চলা মোটরসাইকেলগুলোকে। ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতি, যখনতখন ওভারটেকিং প্রবণতা, হেলমেট না পরা এবং একাধিক আরোহী নিয়ে চলে বেশিরভাগ গাড়ি।

এর ওপর রয়েছে বাস, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশাসহ অন্যান্য পরিবহনের সঙ্গে রেষারেষি। ফলে সবসময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলছে বাহনগুলো।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে গত তিন মাসে ভর্তি হওয়া রোগীর বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার।

একজন রোগী বলেন, পা কাটার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু শিওর না একেবারে ঠিক হবে কিনা।

বিআরটিএর হিসেবে, গত বছর কেবল ঢাকা থেকেই নিবন্ধিত হয়েছে পৌনে একলাখ গাড়ি।এবং চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন নিয়েছে তেইশ হাজারেরও বেশি মোটরসাইকেল। গবেষকরা বলছেন-সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনাও।

বুয়েটের এআরআই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং হেলবিহীন চালকদের এড্রেস করতে হবে। এভাবে যদি নজরদারির আওতায় আনা যায় তবে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব।

ঢাকায় রাইড শেয়ারিং চালু হবার পর মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। শহরের বাইরে থেকে এসেও যুক্ত হচ্ছে অনেক গাড়ি। নানারকম প্রচারণা এমনকি আইনি পদক্ষেপ নিয়েও রোধ করা যাচ্ছে না মোটর সাইকেলের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল।

সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হওয়ায় বিআরটিএ জোর দিচ্ছে চালক ও আরোহীর সচেতনতা বাড়ানোর ওপর।

বিআরটিএ এর রোড সেফটির পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই- রব্বানী বলেন, মোটরসাইকেল যেন আইনের ভেতর থেকে সব কানুন মেনে চলে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অন্যান্য পরিবহনের চেয়ে কমপক্ষে ৩০ গুণ বেশি ঝুঁকিপ্রবণ বাহন মোটরসাইকেল। তাই, ট্রাফিক আইন মানার ওপর জোর দেন গবেষকরা।