ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এখন আইপি ক্যামেরার আওতায়
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন আইপি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ককে পুরো নিয়ন্ত্রনে আনছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্য দ্রুত এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে।এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাসড়কে সুষ্ঠুভাবে যানজট নিয়ন্ত্রন, যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানসহ সকল প্রকার সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাগুলো অনায়াসে কমিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ।
এই কাজটির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।
এই বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, আধুনিক যুগে প্রযুক্তির সুবিধা নিয়েই পুলিশি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জনগনের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে সুষ্ঠুভাবে যানজট নিয়ন্ত্রন ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এই সড়ককে আইপি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য কাজ শুরু করেছি। এই কাজটি স্থায়ী ভাবে সড়কের যানজট নিরসনে যেমন ভূমিকা রাখবে তেমনি ভূমিকা রাখবে যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানে। এর ফলে মহাসড়কে ডাকাতিসহ সকল প্রকার অপরাধ কমে যাবে ও অপরাধীদের দ্রুত সনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
এ সময় তিনি আরো জানান, টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ কাজটি করলেও সকলের সাথে সমন্বয় করেই করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে দেওহাটা, মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ড, পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড, করটিয়া বাইপাস, টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড, রাবনা বাইপাস ও এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পরবর্তীতে পুরো মহাসড়ককেই আইপি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রন করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি বলেন, আমরা নিরাপদ সড়ক চাই। আমরা চাই, সবাই যেন নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে। সেজন্য এই উদ্যোগটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমরা উন্নত বিশ্বে এই ধরনের সিস্টেম দেখতে পাই। এই কাজে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন