তাজিয়া মিছিলের জন্য প্রস্তুত হোসনি দালান
হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর দৌহিত্র ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেনের মৃত্যুর প্রতীকী শোক পালন করতে প্রতি বছরই তাজিয়া মিছিল বের করে ইমামবাড়াগুলো। এবারও পবিত্র আশুরা অর্থাৎ মহররম মাসের ১০ তারিখ বের হবে এই মিছিল।
রাজধানীতে আশুরা উপলক্ষে বড় আয়োজন পুরান ঢাকায় হোসনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমে। এছাড়া মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার,লালবাগ, পল্টন, মগবাজার থেকেও আশুরার মিছিল বের হয়। মোগল আমল থেকেই এই অঞ্চলে তাজিয়া মিছিলের প্রচলন হয়।
শনিবার আশুরার তাজিয়া মিছিলের এক দিন আগে হোসনি দালান গিয়ে চোখে পড়ে প্রস্তুতির চিত্র। চলছে তাজিয়ার সাজ-সজ্জার কাজ। প্রতি বছরের মতো বড় এই তাজিয়া মিছিলে থাকবে ইমাম হাসান ও হোসেনের প্রতীকী কবর। চারদিকে কাচ আর উপরে প্লাস্টিকের শেড দিয়ে ঘেরা থাকবে প্রতীকী কবরটি। তাজিয়ার নিচে রয়েছে ৬ টি চাকা।
সবকিছু ঠিক থাকলে রোববার জোহরের নামাজের পর (দুপুরে) বের হবে তাজিয়া মিছিলটি। পুরাতন ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ধানমণ্ডি লেকে যাবে। লেকেই ডুবানো হবে তাজিয়াটি।
রহমান নামে শিয়া সম্প্রদায়ের একজন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছরই মহররমের প্রথম ১০ দিন হাসান-হোসেনের শোকের মাতম চলে এখানে। আগামীকালও একইভাবে শুরু হবে। আমরা মিছিলে হেঁটে হেঁটে ধানমণ্ডি পর্যন্ত যাই। মূলত তাজিয়াটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং অনেকে মানৎ (নিয়ত) করে এর ওপর কবুতর, মুরগি, টাকা-পয়সা ইত্যাদি তাজিয়ার উপর ফেলে।
এদিকে পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি হোসনি দালান পরিদর্শনের পর ডিএমপি কমিশনার বলেন, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এসব তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি,বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে মিছিলে অংশ নেন হাসান-হোসেন ভক্তরা।
তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে অনেক সময়ই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যা নগরবাসীর মনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টিসহ জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে ওঠে। একইসঙ্গে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর কারণে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যও ম্লান হয়। তাই নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহার করা যাবে না। এদিকে হোসনি দালানের মতো প্রস্তুতি চলছে রাজধানীর পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জের বিবিকা রওজাও।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন