তিন তালাকের প্রতিবাদে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের হুঁশিয়ারি মুসলিম নারীর

তিন তালাক নিয়ে এখন গোটা ভারত জুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এই বিতর্ক গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এবার এই প্রথার প্রতিবাদে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার হুঁশিয়ারি দিলেন এক মুসলিম নারী। কিছুদিন আগে থানাতেই ওই নারীকে তিন তালাক দেন তার স্বামী।

এই ঘটনার পর সেই নারী বলেছেন, তিনি যদি সুবিচার না পান, তাহলে হয় হিন্দু ধর্মগ্রহণ করবেন নতুবা আত্মঘাতী হবেন। ঘটনার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তিনি। এই বিস্ফোরক মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভারতের উত্তরাখণ্ডের উধমসিংহ নগরের বাসিন্দা ওই নারীর নাম শামিন জাহান। বছর বারো আগে আসিফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের চার বছরের মাথায় একবার শামিমকে তালাক দিয়েছিলেন আসিফ। তবে সেবার পরিবারের মধ্যস্থতায় সমস্যা মিটে গিয়েছিল। সেবার ৪০দিন আলাদা থাকার পর ফের একসঙ্গে থাকা শুরু করেন শামিন ও আসিফ। কিন্তু অভিজ্ঞতা সুখের হয়নি৷

জানা যায়, শামিমের ওপর শারীরিক অত্যাচার করতে শুরু করে আসিফ। কিন্তু মুখে বুজে অত্যাচার সহ্য না করে, স্থানীয় থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শামিন। এরপরই থানায় ঢুকে পুলিশকর্মীদের সামনেই আসিফ শামিনকে ফের তালাক দেন।

জীবনের এই তিক্ত অভিজ্ঞতার পর শামিন এখন বলছেন, হিন্দু ধর্মে তিন তালাকের মতো প্রথা নেই। তাই মুসলিম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্মগ্রহণ করাটাই শ্রেয় বলে মনে করছেন। আর তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আত্মহত্যা করবেন তিনি।

তবে শুধু শামিনই নন, তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে সরব ভারতের মুসলিম নারীদের একাংশ। একাধিক আবেদনের জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ছয়দিনের ঐতিহাসিক শুনানি শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। তবে আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছেন শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। আগামী জুলাইয়ের সম্ভবত এই মামলায় রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট।