তিন পার্বত্য জেলায় পানি কমলেও দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন
তিন পার্বত্য জেলায় পানি কমলেও দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত একর জমির ফসল। বান্দরবানে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকদিন সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পৌঁছাতে পারেনি খাদ্য সামগ্রীর যানবাহন। এতে দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।
বন্যার পানি কমলেও রেহাই নেই পার্বত্য জেলার মানুষের। এবার দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। সেই সাথে পাহাড় ধসের আশঙ্কা।
খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বসতবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। তবে পানির স্রোতে চেঙ্গী, মাঈনী ও ফেনী নদীতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে আতংক কাটেনি স্থানীয়দের। এরইমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। হুমকির মুখে দীঘিনালা, মেরুং ও বোয়ালখালীর বেশ কিছু বসতভিটা। পাহাড় ধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে কয়েকশ’ বাড়িঘর। ক্ষতি হয়েছে শত শত একর ক্ষেতের ফসল। মহালছড়ি এলাকায় বন্যার পানিতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় রাঙামাটির সঙ্গে বিচ্ছিন্ন রয়েছে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ।
বান্দরবানে গত কয়েকদিনের বন্যায়, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ঢুকতে পারেনি শাক-সবজি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ট্রাক। এতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বেড়েছে মাছ, মাংস, ডিমের দামও। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়িসহ বিভিন্ন এলাকার পানি কমায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে জনজীবন। তবে, ৬শ’ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষক। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।
চলতি বছর রাঙ্গামাটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন