সাক্ষী থেকে আসামি মিন্নি, পরিবার বলছে নাটক

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী, নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে এনে গ্রেফতার দেখানোর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মিন্নির পরিবার।

তাদের দাবি মিন্নি বেশ কিছুদিন যাবত মানসিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মানসিক ভাবে অসুস্থ মিন্নিকে আসামি সনাক্ত করার নামে একটানা ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে আরো মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন বুধবার আদালত চত্বরে গণমাধ্যমকে জানান, আমার মেয়েকে কি কারণে সাক্ষী থেকে আসামি করা হয়েছে আমি তার সঠিক তদন্ত চাই। তিনি অভিযোগ করেন খুনিদের সহযোগিরা নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মামলা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য নাটক সাজিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনগত ভাবে লড়াই করবেন বলেও জানান মোজাম্মেল।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় মিন্নির ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে মিন্নিকেও গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

রিফাত হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ আসামি দায় স্বীকার করেছে। গ্রেফতার অন্য তিন আসামি রিমান্ডে রয়েছে। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।