দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের বান্ধবীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হে’র ঘনিষ্ঠ বন্ধু চোই সুন সিল’কে দুর্নীতির অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। পার্ক গিউন হে’র বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে। খবর বিবিসির।

অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আছে চোই সুন সিলের বিরুদ্ধে। আর তিনি সেটা করেছেন পার্ক গিউন হে`র নাম ভাঙিয়ে। স্যামসাং ও হুন্দাই-এর মতো কোম্পানির কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে ঘুষ নেন তিনি। পরে সেই অর্থ দেয়া হয় সন্দেহভাজন এক প্রতিষ্ঠানকে।

এছাড়া নিজের মেয়ে চাং ইও রা-কে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পরবর্তী সময়ে পরীক্ষার খাতায় নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন চোই। এজন্য তিনি ঘুষ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাবেক কর্মকর্তাকেও কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে আদালতে চোই জানিয়েছেন, মেয়ের প্রতি অত্যধিক ভালবাসা থেকে তিনি এ কাজ করেছেন। তিনি সব সময় নিজের মেয়েকে সেরা অবস্থানে দেখতে চেয়েছেন।

পার্ক গিউন হে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বান্ধবীকে দুর্নীতির সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ১০ মার্চ পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন তিনি। আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয় সেসময়।

আদালতের আদেশে পার্ককে গ্রেফতার করা হয় ৩০ মার্চ। সাংবিধানিক আদালতে চূড়ান্তভাবে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন ১৭ এপ্রিল। ঘুষ নেয়ার বিষয়টি প্রমাণ হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে পার্কের।

বান্ধবী চোই দোষী সাব্যস্ত হওয়াতে ধারণা করা হচ্ছে পার্ককেও মাশুল দিতে হতে পারে।