দিনাজপুরে নকল কসমেটিক্স বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে জরিমানা
দিনাজপুর শহরের পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিযয়ে নকল কসমেটিক সামগ্রী জব্দ করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
নামি দামী বিভিন্ন পণ্যের নাম ব্যাবহার করে নকল কসমেটিক্স বিক্রির অপরাধে দিনাজপুর শহরের পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিযয়ে নকল কসমেটিক সামগ্রী জব্দ করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জব্দকৃত নকল কসমেটিক্স সামগ্রী ধ্বংস করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ রুনী।
আজ দুপর ১২টায় দিনাজপুর শহরের সরদারপাড়া ও লেবুর মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেড় লক্ষাধিক টাকার এসব নকল কসমেটিক সামগ্রী জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
নকল কসমেটিক সরবরাহকারী সেলিম রেজা (৩৫) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার চৌরঙ্গী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আব্দুল সালাম এর ছেলে।
এবং সেতাবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে সামসুল আলম (৩২)এসব নকল কসমেটিক সামগ্রী অনেক দিন থেকে ব্যবসা করে আসছিল।
দিনাজপুর ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভেজাল কসমেটিক সামগ্রী ডাব শ্যাম্পু, জনসন সাবান, জনসন বেবি শ্যাম্পু, কুমারিকা তেল, প্যারাসুট তেল, সহ প্রায় ২৪ টি সামগ্রী নামিদামি কোম্পানির নামে নকল পণ্য সরবরাহ করছেন। একজন খুচরা বিক্রেতা সেলিম নামের ঐ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কসমেটিক্স কিনে মানুষের কাছে বিক্রি করছিল। এক পর্যায়ে ক্রেতাদের অভিযোগে এসব নকল সামগ্রী বুঝতে পেরে ভোক্তা অধিকারকে জানায়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পাইকারী বিক্রেতা সেলিম ও সামসুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে সেসব নকল কসমেটিক্স জব্দ করে ধ্বংস করা হয় এবং সেলিমকে ৩০হাজার টাকা এবং সামসুল আলমকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের নকল সামগ্রীর ব্যবসা করবে না বলে অঙ্গীকার প্রদান করায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এবং জব্দকৃত ভেজাল কসমেটিক সামগ্রী প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন