দিনাজপুরে মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে আজমল হক ফাউন্ডেশন
দিন মজুর বাবা ধার দেনায় প্রাথমিক হতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত মেধার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের নব কুমার ও জয়দেব চন্দ্র রায় এবং সাতোর ইউনিয়নের রনজিৎ চন্দ্র রায়। সেখানে মেধাক্রমে ভর্তির সুযোগ অর্জন করেছে। কিন্তু ভর্তি বাবদ টাকার পরিমান শুনে দিন মজুর বাবার কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে যায়। টাকা জোগাড় করার কোন উপায় না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানকে ভর্তি করানো নিয়ে হতাশায় পড়েন দিন মজুর বাবা।
২০২২—২০২৩ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ প্রাপ্ত নব কুমার রায়, জয়দেব চন্দ্র রায় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুয়োগ প্রাপ্ত রনজিৎ চন্দ্র রায়ের স্বপ্ন যেন অধরায় রয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতি মেধাবী দরিদ্র ৩শিক্ষার্থীর পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় আজমল হক ফাউন্ডেশন।
রবিবার সকালে বীরগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেব আনুষ্ঠানিক ভাবে আজমল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষে মেধাবী দরিদ্র ৩শিক্ষার্থীর হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন ডেপুটি কমিশনার অব কাস্টমস মোঃ পায়েল পাশা।
পরে সাংবাদিক মীর কাশেম লালুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে বক্তব্য রাখেন মানবিক বীরগঞ্জ এর সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, আজমল হক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ মেহেদী হাসান সজল, উপজেলা ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বীরগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরীর সদস্য, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গনমাধ্যম কর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেধাবী ক্রীড়াবিদ প্রয়াত আজমল হকের স্মরণে বিপন্ন মানবতার পাশে শ্লোগানে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি সেবামূলক সংগঠন গড়ে তোলা আজমল হক ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধিদের মাঝে হুইল চেয়ার, মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা এবং অসুস্থ্য মানুষের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতা করে আসছে। সেবা মুলক কার্যক্রমের জন্য সংগঠনটি ইতিমধ্যে এসএবিডি এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন