দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সেকশন অফিসারকে বরখাস্ত ! চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগনেতার পাল্টাপাল্টি জিডি ।
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মোঃ রিয়াজুল ইসলাম নামে একজন সেকশন অফিসারকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনাকে নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের পক্ষে পাল্টাপাল্টি জিডি করা হয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পিএস নাসিমুজ্জামান তিনজন আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে এবং একজন আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় এই জিডি করেছেন।
তবে জিডির গর্ভে কি অভিযোগ আনা হয়েছে এ নিয়ে দুই পক্ষের কেউ কোন কথা বলতে রাজি হননি। এমন কি পুলিশও তদন্তের স্বার্থে কিছু জানাতে রাজি হননি।
গত ২৮ মে প্রায় অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন, বিগত সময় হিসাব রক্ষক নাসিমুজ্জামানকে লাঞ্চিত করেছেন, পদোন্নতির জন্য চেয়ারম্যানকে অনৈতিক চাপ দেয়া, কর্মকর্তা কর্মচারিদের সঙ্গে র্দর্ব্যবহার করা,বিজি প্রেসে প্রশ্নপত্র প্যাকেটজাত করার জন্য ১০ দিনের অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেয়ার চাপ দেয়া, ২০১৭ সালে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ তোফাজ্জুর রহমান চেয়ারম্যার পদে অতিরিক্তি দায়িত্বে থাকা কালিন সময় বহিরাগত সন্ত্রাসী শি·া বোর্ডে নিয়ে গিয়ে কয়েকজন কর্মকারিকে মারধর, বিভিন্ন পত্রিকায় চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সেকশন অফিসার মোঃ রিয়াজুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়।এ নিয়ে শিক্ষা বোর্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্যসৃষ্টি হয়।
এদিকে গত ২৯ মে দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বজলুল হক ও শাহ ইয়াজদান মার্শাল এবং যুগ্ম সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল বিশেষ কাজে শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় শি·াবোর্ডের চেয়ারম্যান এবং উক্ত তিন আওয়ামীলীগ নেতার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায পরিস্থিতি এতটাই অবনতি হয় যে একে অপরের প্রতি বিরাগ ভাজন হয়ে পড়েন এবং আওয়ামীলীগ নেতারা চেয়ারম্যানের কক্ষ ত্যাগ করে চলে আসেন।
এ নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারিরা ৩০ মে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শিক্ষাবোর্ডের সামনে মানববন্ধনের ডাক দেন। কিন্তু সকালে তা বাতিল করা হয়। জানা যায়, এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন তারা।
এদিকে ২৯ মে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের রুমে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে ৩০ মে মঙ্গলবার দুপুরে পাল্টাপাল্টি জিডি করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষে তিন আওয়ামীলীগ নেতার নামে জিডি করেছেন পিএস নাসিমুজ্জামান। যার জিডি নং ২৩১২ । আর চেয়ারম্যানের বিপক্ষে জিডি করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এ্যাড. বজলুল হক। যার জিডি নং ২৩১৮। উভয় জিডির তারিখ ৩০ মে ২০২৩ ইং।
এ ব্যাপরে জানতে চাইলে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আমাদের চাকুরী নীতি মালা অনুয়ায়ী একজন সেকশন অফিসারকে বরখাস্ত করেছি। তিনি প্রয়োজনে আদালতে যাবেন। এতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু জিডির বিষয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি।
অপরদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এ্যাড. বজলুল হক বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে বিশেষ কাজে গিয়েছিলাম। এ সময় কথায় কথা হতে পারে, কিন্তু চেয়ারম্যান গার্ডকে ডাকবেন এটা মেনে নেয়া যায়না। তিনি আমাদের সঙ্গে খুব কারাপ আচরন করেছেন। তাই জিডি করেছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন