দুই জেলায় বন্যার আশঙ্কা, বিপৎসীমা ছাড়াতে পারে তিস্তার পানি

উজানে ও দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টির কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুরের নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দিতে পারে।

সোমবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানিও বাড়ছে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের উজানের কতিপয় স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর (তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, পুনর্ভবা, কুলিখ, ট্যাঙ্গন, আপার করতোয়া, আপার আত্রাই) এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর (সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংশ) পানি কিছু পয়েন্টে সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।

আগামী ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে রহনপুরে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ১১৪, রংপুরে ৮২, জারিয়াজাঞ্জাইলে (নেত্রকোনা) ৬২, দূর্গাপুর (নেত্রকোনা) ১১০, জকিগঞ্জে (সিলেট) ৭৯, মহেশখোলায় (সুনামগঞ্জ) ৯০, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিকিম, অরুণাচল, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা অঞ্চলের মধ্যে জলপাইগুড়িতে ৯২ ও চেরাপুঞ্জিতে ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।