দুই পক্ষের ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর বিল পাস, ৫ জুনের মধ্যেই চূড়ান্ত

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের সীমা বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। ডেমোক্রাট ও রিপাবলিকান প্রতিনিধিদের সম্মিলত ভোটেই এই বিল পাশ করা হয়। বুধবার এ-সংক্রান্ত বিলের ওপর রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়। বিলটির পক্ষে ৩১৪ ভোট এবং বিপক্ষে ১১৭ ভোট পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঋণখেলাপি হয়ে পড়া এড়াতে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি বিপুল ভোটে পাসের বিষয়টিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে ওয়াশিংটনে অচলাবস্থা চলছিল। দফায় দফায় আলোচনার পর গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি সমঝোতার ঘোষণা দেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস হলো।

প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়ার পর এখন বিলটি মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে যাবে। ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত ১০০ আসনের সিনেটে বিলটি পাস হতে ৬০ ভোটের দরকার হবে। বিলটি সিনেটে পাস হলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তা আইনে পরিণত হবে।৫ জুনের আগে ৯৯ পৃষ্ঠার এই বিল পাস হয়ে আইনে পরিণত হওয়ার বিষয়ে জরুরি তাড়া রয়েছে। কারণ, মার্কিন সরকারের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর শেষ তারিখ ৫ জুন। এই সময়ের মধ্যে ঋণসীমা বাড়ানো না গেলে যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।
এর আগে শনিবার বাইডেন ও ম্যাকার্থি এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা হওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেন। বাইডেন ও ম্যাকার্থির মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হয়ে পড়া এড়াতে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর শেষ তারিখ আগামী ৫ জুন। নির্ধারিত এই সময়ের (এক্স-ডেট) আগে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে বাইডেন ও ম্যাকার্থি দফায় দফায় বৈঠক করেন। শেষ সময়ের দিন কয়েক আগে অবশেষ তাঁরা সমঝোতায় পৌঁছে যান। পরে বুধবার কংগ্রেসে ভোট হয়। যা এখন সিনেটে যাওয়ার অপেক্ষায়। এবং সহজেই পাশ হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী ৫ জুন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি আসবে। যার অপেক্ষায় আমেরিকানরা।