দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় ভাষা মতিন আলোকবর্তিকা : মোস্তফা

দেশের রাজনীতি এখন দুর্বৃত্তায়নের কবলে। দেশের ও দেশের জনগনের স্বার্থের চাইতে নিজের স্বার্থই এখন গুরুত্বপূর্ণ। জনগনের কল্যানে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচী না থাকলেও, দলের নেতাদের স্বার্থে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী দিতেও তারা কুন্ঠিত হয় না। আজ যখন দেশের রাজনীতি পথহারা তখন দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র ভাষা আবদুল মতিন আলোকবর্তিকা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ভাষা বীর, ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ এবং চূড়ান্ত অনিষ্ট করার সামর্থ্য বা ক্ষমতা রয়েছে রাজনীতি ও রাজনীতিকদের। কোনো দেশের রাজনীতি যদি হয় নীতিহীন, পচনগ্রস্থ-তবে সে দেশটির অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও সেই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের রাজনীতি এখন দুর্বৃত্তায়নের কবলে। রাষ্ট্র নিজেই এখন দুর্নীতিবাজ আর লুটেরাদের মত ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই মুহুর্তে মহান ভাষা আন্দোলনের অবিস্মরণীয় ও মহান রাজনীতিক ভাষা বীর আবদুল মতিনের জীবন আমাদের দুর্নীতি ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুপ্রেরনা যোগায়।

তিনি বলেন, ভাষা মতিনের জীবন হতে পারে অনুস্মরণীয়। ভবিষ্যতের সুন্দর সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আদর্শিক রাজনীতির বিকল্প নেই। এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক ঐক্য। যোগ্যদের নেতৃত্ব। অতিতের বীরদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে তাদের জীবনী আজকের ও আগামী প্রজন্মের নিকট পৌছে দিতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, মো. আমজাদ হোসেন, মহানগর নেতা হাবিবুর রহমান, নারী নেত্রী মিতা রহমান, লি. রহমান প্রমুখ।

ভাষা মতিনের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি।