দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা প্রশংসনীয়: এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে সৌদি আরবের একটি অভিজাত হোটেলের অডিটেরিয়ামে সৌদি আরব প্রবাসী শরীয়তপুর কল্যাণ সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান ব্যাপারীর সভাপতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সৌদি আবরের জেদ্দায় নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হক।
এসময় তিনি আরও বলেন, দেশের প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি প্রবাসে কর্মরত রয়েছে। যার প্রায় ২৫ লাখই সৌদি আরবে কর্মরত। জীবনমান উন্নয়নের জন্য এবং আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেক লোক বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন এবং হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির ভীতকে মজবুত করে বৈদেশিক রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন।
তিনি জানান, করোনার মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে।
তাছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহও পর্যাপ্ত পরিমাণ আমানত তৈরি করতে পারছে। করোনাকালীন সময়ে প্রবাসীদের আয় তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্বস্তি ও সাহস যুগিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এর আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮০৩ কোটি ১০ লাখ ডলার।
প্রবাসীরা হচ্ছেন বিদেশে দেশের দূত। প্রবাসীরা যাতে বিমানবন্দরেও হয়রানির শিকার না হয়, বিদেশের এম্বাসিগুলোতেও যেন পূর্ণ সহযোগিতা পায় সেজন্যও বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই লক্ষ বাস্তবায়নে প্রবাসীরাও বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রবাসীদের জন্য যত ধরনের বেশি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন, তা করতে কাজ করে চলছেন। প্রবাসী বান্ধব সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনন্য।
তিনি প্রবাসীদের পরিবার ও সন্তানদের কথা ভেবেও নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। করোনাকালীন সময়ে প্রবাসীরা বিদেশে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন। তাই প্রবাসীদের জন্য কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সৌদি আরব প্রবাসী শরীয়তপুর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন হাওলাদার, আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার সরকার, অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক সফিক জামান সুমন, সদস্য সচিব ওমর তাঁতী, সদস্য জাফর ঢালী, সাবেক ছাত্রনেতা আরাফাত রহমান আরিফ প্রমূখ।
এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই শরীয়তপুরে এখন আর নদীভাঙন নেই। নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দুর্গম চরাঞ্চল আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। আগামী জুনে পদ্মা সেতু চালু হবে। আর ইতিমধ্যেই মেঘনা সেতু নির্মাণেও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা এবং মাস্টারপ্লান প্রণয়নে ছয়টি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে সরকার এবং তারা কাজ করছে। শরীয়তপুরে ফোরলেনের কাজও এগিয়ে চলছে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি জানান, শরীয়তপুর সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে এবং সেই নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তাই প্রবাসীদেরকেও এক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন