দেশে টেলিযোগাযোগ ব্যাবস্থা অনন্য উচ্চতায় উপনীত হয়েছে -টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যাবস্থা আজ এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত হয়েছে। ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো। দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ইতিমধ্যেই ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। আমরা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছি।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা পরিস্থিতির কারণে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু করতে মোবাইল অপারেটরসমূহ কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারছে না। অংশীজনদের সাথে নিয়ে টেলিযোগাযোগ সেক্টরের উন্নয়নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ন্যাশনাল ইমারজেন্সি টেলিকমিউনিকেশন্স সিস্টেম শীর্ষক পরামর্শক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আবদুল ওয়াদুদ এবং আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসাইন মোহাম্মদ মশিহুর রহমান বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী অংশীজনদের সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে দেশে একটি দুর্যোগকালীন টেলিযোগাযোগ সিস্টেম চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, চলতি বছর হাওর বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, বন্যায় টেলিযোগাযোগ ব্যাবস্থা বিধ্বস্ত হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্যাকবলিত এলাকার মানুষকে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ ও অন্যান্য ব্যাবস্থায় টেলিযোগাযোগ ব্যাবস্থা সচল করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বন্যাকবলিত এলাকায় নেটওয়ার্ক সচল রাখার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, কোনো কোনো বন্যাকবলিত এলাকায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্যাটেলাইটের হাব বসিয়েছি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দেশে টেলিযোগযোগ প্রযুক্তি বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছেন উল্লেখ করে বলেন, ১৯৯৭ সালে দেশে টু-জি মোবাইল প্রযুক্তি, ২০১৩ সালে থ্রি-জি প্রযুক্তি, ২০১৮ সালে ফোর-জি প্রযুক্তি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। মন্ত্রী দুর্গত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় জরুরি টেলিকমিউনিকশন সিস্টেম স্থাপনের জন্য একটি আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভাপতির বক্তৃতায় টেলিযোগাযোগ সচিব দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে দুর্যোগ পূর্বাভাস অত্যান্ত জরুরি বলে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর মাধ‌্যমে ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগ একটি কার্যকর যোগাযোগ ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।