দেশে ফিরেই পার্টিতে মজেছেন নেইমার

বিশ্বকাপের কাতার আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ব্রাজিলের বিদায়ের পর এক সপ্তাহ পার হলেও এর রেশ এখনো আছে। সেলেকাওদের চুলচেরা বিশ্লেষণে ফেলছেন ভক্তরা। শোকের ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেকে। খবরের পাতায় পাতায় এখনও ভেসে বেড়াচ্ছে নেইমারদের কান্না আর কষ্টের ছবি। এমন যখন অবস্থা, তখন অন্য কারণেও শিরোনাম হচ্ছে ব্রাজিল দল।

বিশেষ করে একের পর এক শিরোনামের জন্ম দিয়ে চলেছেন নেইমার‌, যার কান্নার ছবি এখনও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে ঘুরছে। ব্রাজিলের মিডিয়ার খবর বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেই‌ পুরনো রূপে ফিরে গেছেন নেইমার। পিএসজি তারকাকে কোন‌ কিছু দিয়ে সামাল দেয়া যাচ্ছে না। পার্টি আর পান এখন তার নিত্যদিনের সঙ্গী।‌

বিশেষ করে নিজের শহর সাও পাওলোতে এক বিশাল পার্টি আয়োজনের খবর চাউর হতেই নেইমারের ওপর যার পর নাই ক্ষেপেছেন দেশটির ফুটবল প্রিয় মানুষরা। বোনের বাসায় নেই পার্টির আয়োজন করেন নেইমার। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিনোদন জগতের তারকা থেকে শুরু করে নিশি রাতের অতিথিরাও ছিলেন।

নেইমার অনেক চেষ্টা করেছিলেন যাতে তার এই পার্টির খবর বাইরে না যায়। এজন্য ভীষণ গোপনীয়তা আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। উল্টো ব্রাজিলের বিভিন্ন মিডিয়াতে ফলাও করে সেই খবর প্রকাশ‌ করা হচ্ছে।

ব্রাজিল দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অ্যান্টোনি সেই পার্টিতে হাজির ছিলেন। আরো ছিলেন সমাজের নামীদামী ব্যক্তিরা।‌ছিলেন ব্রাজিলের সংগীত তারকা জোয়াও গোমেজ। বাদ যাননি রাজনীতিবিদও।

পার্টির খবরে নেইমারের উপর বেজায় চটেছে ব্রাজিলের মানুষ। বলছে, ছেলেটার কান্ড দেখো। ওর মধ্যে দলের জন্য মায়া মমতা নেই। দলের হয়ে সে খেলেনি, বিশ্বকাপ তো দূরের কথা, জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা ওর নেই। ওকে বাদ‌ দেয়া উচিৎ। সেই সাথে মেসির সঙ্গেও তুলনা করছে কেউ কেউ। বলছে, মেসিকে দেখো, দলের জন্য জীবন দিচ্ছে। আর নেইমার নিশিযাপন করছে।‌

তবে নেইমারের পক্ষেও আছেন অনেক। তাদের কথা, যা হবার তা তো হয়েই গেছে। এখন তো সামনে তাকানোর সময়। বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর সব খেলোয়াড়ই মর্মাহত। তার মানে এই নয় যে, তাদের সব সময় কান্নাকাটি করতে হবে। নেইমারের মতো ধর্ণাঢ্য তারকাদের ভালো থাকার অনেক উপায় আছে, আর সেই অধিকারও তার আছে।‌