দেশ সেরা মেধাবী মুহিত মেডিকেলে নয় বুয়েটেই পড়তে চায়!

দেশ সেরা মেধাবী পীরগঞ্জের আল-মুহিত মুহতাদি এইচএসসি পাশের পর বুয়েট, মেডিকেল ও আই.ইউ.টিতে ভর্তি পরীক্ষায় ৩টি প্রতিষ্ঠানেই মেধা তালিকায় রয়েছেন। মুহিত মেডিকেলে ভর্তি হলেও এখন বুয়েটেই পড়তে আগ্রহী।

মুহিত এইচএসসি পাশের পর ভর্তি পরীক্ষায় ইসলামিক ইউনিভার্টিসিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি)তে মেধা তালিকায় ২য়, মেডিকেলে ২৯তম হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়ে প্রায় ৪ মাস ধরে ক্লাসও করে। পরে সে বুয়েটে (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) ২৩তম স্থান অধিকার করায় এখন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে বুয়েটে ভর্তি হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন।

মুহিত পিএসসি, জেএসসি, ২০১৮ সালে এসএসসি ও ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ লাভ করে। ২০১৪ সালে সে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’ প্রতিযোগিতায় দেশ সেরা মেধাবী হয়। ওই প্রতিযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদকসহ লেখাপড়ার জন্য এককালীন এক লক্ষ টাকা প্রদান এবং থাইল্যান্ডে ১ সপ্তাহের ভ্রমন করায়। ওই ভ্রমনে ১২ জন মেধাবীকে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান ও গ্রহনের কৌশল এবং দেশটির সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করা হয়। মুহিত জানায়, ছোট থেকেই খুব ইচ্ছা ছিল কম্পিউটার বিষয়ে লেখাপড়া করবো। আল্লাহ্ হয়তো, আমার সে আশা পুরণ করেছে।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ ইউনিয়নের ছোট মির্জাপুর গ্রামের মোশফিকুর রহমান ও শানীমা সুলতানা শাম্মীর দু ছেলে। বড় ছেলে আল-মুহিত মুহতাদি এইচএসসি পাশের পর ভর্তি পরীক্ষায় ৩টি প্রতিষ্ঠানে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। আর ছোট ছেলে আল-সাঈফ মুহতাদি পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছে। মুহিতের বাবা পীরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মা  পীরগঞ্জ উপজেলা সদরের মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা।

মুহিতের বাবা মোশফিকুর রহমান বলেন, সন্তানের ভাল অর্জন যেকোন বাবা-মায়ের কাছে বিরাট সাফল্য। প্রত্যেক বাবা-মার সন্তান যেন সুপ্রতিষ্ঠিত হয়, এমনটাই আশা করি।