দেড় মিনিটে ৪৯ আঘাতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা খুন (ভিডিও)
ভারতের এলাহাবাদে সোমবার একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
দেশটির হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা জানায়, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে পুলিশের ওই সাবেক সাব ইন্সপেক্টরকে ৯০ সেকেন্ডে ৪৯ বার লাঠির আঘাত করা হয়। ভিডিওতে আরও দেখা যায় এসময় সত্তুর বছরের ওই বৃদ্ধকে বাঁচাতে প্রায় কোনো পথচারীই এগিয়ে আসেনি।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, রক্তাক্ত আব্দুল সামাদ খানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান তিনি।
খবরে বলা হয়, ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী আব্দুল সামাদ খান সাইকেলে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বাইকে করে লাল জামা পরা একটি লোক তার সামনে এসে তাকে প্রহার করতে থাকে।
মারের চোটে মাটিতে পড়ে যান আব্দুল সামাদ খান। তবুও চলতে থাকে মার। আরেকজন ব্যক্তিও এসে যোগ দেয় তারপর। একজন ব্যক্তি সামনের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে এই গোটা দৃশ্যটি দেখছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী মার খেয়ে যাচ্ছেন। ওদিকে রাস্তা দিয়ে বাইক বা স্কুটিতে করে যারা যাচ্ছে, তাদের কেউ তাকাচ্ছেও না। সোজা বেরিয়ে যাচ্ছে পাশ কাটিয়ে অথবা ঘুরিয়ে নিচ্ছে গাড়ি।
দুজনের সঙ্গে তৃতীয়জনও যোগ দেয় এই সময়। তিনজন মিলে বড় লাঠি দিয়ে প্রহার চলতেই থাকে। দেওয়ালে ঠেকে যায় আব্দুল খানের শরীর।
এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে, তার নাম জুনাইদ। পুলিশ জানিয়েছে তার নামে অন্তত দশটির বেশি অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে।
এলাহাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এটি দু’পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে সমস্যার কারণেই ঘটেছে। মোট দশজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের একজন, মোহাম্মদ ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে পুলিশের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন আব্দুল সামাদ খান।
নিহতের ভাই আবদুল অয়াহিদ বলেন, অভিযুক্ত জুনাইদ একজন জমি দখলকারী এবং সে সামাদ খানের একটা জমি দখল করতে চাইছিল। ওই এলাকার অনেকেই জুনাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি এবং নির্ভয়ে এলাকার লোকজনকে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনার প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা এএনআই।
এনডিটিভিতে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে:
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন