‘ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে হামলার টার্গেট করেছিল জঙ্গিরা’

রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরকে টার্গেট করে জঙ্গিরা জাতীয় শোক দিবসের মিছিলে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালের পাশে জঙ্গি আস্তানা আবাসিক হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে ‘অপারেশন অগাস্ট বাইট’ অভিযান শেষে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আইজিপি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

শহীদুল হকের ভাষ্য, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল ১৫ আগস্ট উপলক্ষে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে যে মিছিলগুলো আসবে সেই মিছিল জঙ্গিরা আত্মঘাতী হামলা করবে, শত শত লোক মেরে ফেলবে। এমন প্রস্তুতি ছিল জঙ্গিদের।

আইজিপি জানান, মঙ্গলবার রাত থেকেই গোয়েন্দা সদস্যরা ওই জঙ্গির বিষয়ে নজরদারি করে আসছিল। সর্বশেষ হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করা হয়। তাঁকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু ওই জঙ্গি আত্মসমর্পণ না করে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

নিহত জঙ্গির দেহে অনেক সুইসাইডাল ভেস্ট বাঁধা ছিল। বিস্ফোরণের ফলে তাঁর অবস্থান করা কক্ষের দরজা-জানালা উড়ে গেছে। ভবনের এক পাশের কিছু অংশ ধসে পড়েছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, বোমার আঘাতে দরজা, জানালা, ভবনের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে, কাজেই কোনো জনসভার মধ্যে এই বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু গোয়েন্দাদের চৌকস নজরদারির কারণে তা সফল হয়নি।

আইজিপি আরো বলেন, ‘জামায়াত-শিবির না হলে আজ শোক দিবসে হামলার পরিকল্পনা করত না। যারা বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে, তারাই জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছে।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আগস্ট মাস আসলেই দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এবারও দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।