ধূমপান বন্ধের পর শরীরে যে পরিবর্তন আসে

দুইশোরও বেশি বিষাক্ত পদার্থ থাকে একটি সিগারেটের ধোঁয়ায়, যা শরীরের জন্য একটি বোঝা। কিন্তু ধূমপান বন্ধ করার ঠিক পরপরই শরীরের ভেতরকার বিভিন্ন অঙ্গে আসে ইতিবাচক অনেকগুলো পরিবর্তন। আসুন জেনে নেয়া যাক সেই পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে।

ধূমপানের ২০ মিনিট পর

শেষ ধূমপানের মাত্র ২০ মিনিট পরেই শরীরের রক্তচাপ ও নাড়ির গতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। ধূমপানের সময় সিগারেটের নিকোটিন শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখার ফলে যতটুকু বেড়ে গিয়েছিল তা আবার নামিয়ে নিয়ে আসে।

ধূমপানের আট ঘণ্টা পর

ধূমপান বন্ধ করার আট ঘণ্টা পরে রক্তের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তের মধ্যে থাকা কার্বন মনো-অক্সাইড পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে যায়।

১২ ঘণ্টা ধূমপান না করলে

সিগারেটের জ্বলন্ত আগুন থেকে বের হওয়া যে বিষাক্ত গ্যাস শরীর গ্রহণ করেছিল, তা ১২ ঘণ্টা পর থেকে স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। কারণ ধূমপান করার সময় রক্তে অক্সিজেন যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে।

২৪ ঘণ্টা পর

সিগারেট ছাড়ার একদিন পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।

সিগারেট ছাড়া দুই দিন

এসময় শরীর নিকোটিনমুক্ত হয়ে যায়। এর ফলে ধূমপানের কারণে স্বাদ ও গন্ধ নেয়ার যে ক্ষমতা কমে গিয়েছিল, তা ধূমপান বন্ধ করার মাত্র দুইদিন পরেই বাড়তে শুরু করে৷

ধূমপান বন্ধের তিনদিন

ধূমপান থেকে বিরত থাকার তিনদিন পর থেকেই বুকের ভেতরটা হালকা মনে হয় এবং শ্বাসক্রিয়া সহজ হয়। কারণ তখন আর শরীরের ভেতরে নিকোটিন থাকে না। আর সে কারণেই ধূমপান না করার লক্ষণগুলো ভালোভাবে ধরা পড়ে বা বোঝা যায়। তখন মাথাব্যথা, বমিভাব, প্রচণ্ড ক্ষুধা পাওয়া, হতাশা বা আতঙ্কভাব থাকে।

এক বছর কিংবা তার ঊর্ধ্বে

ধূমপান ছেড়ে দেয়ার এক বছর পর থেকেই হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। তাছাড়া দশ বছর ধূমপান না করলে একজন ধূমপায়ীর ফুসফুসের ক্যানসারে মারা যাওয়ার ঝুঁকির তুলনায় অর্ধেক কমে যায়। শুধু তাই নয়, ১৫ বছর ধূমপান থেকে বিরত থাকলে যে জীবনে কখনও ধূমপান করেনি তার মতো করোনারি হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। সূত্র: ডয়েচে ভ্যালে