ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে পেতে শহর জুড়ে হাজারো পোস্টার!

এক কথায় যাকে বলে লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট। প্রথম দেখা ট্রেনে। আর এক পলকেই মন দিয়ে ফেলেছেন যুবক। কিন্তু পাত্রীর মনের কথা জানে না বেচারা যুবক। তাই পাত্রীকে খুঁজে পেতে শহর জুড়ে হাজার হাজার পোস্টার লাগালেন তিনি। অবাক কাণ্ড হলেও একেই হয়তো বলে ভালবাসার টান। যার কাছে পরাজিত সব কিছু।

তবে ভাববেন না শুধু পোস্টার লাগিয়ে বসে রয়েছেন প্রেমিকটি। ক্ষ্যাপা যেমন পরশপাথর খুঁজেছিল। ঠিক তেমনই সেই তরুণীর খোঁজে রোজ একবার করে ট্রেনে ওঠেন ওই যুবক। যদি একবার দেখা মেলে তার!

দক্ষিণ কলকাতার জোকা অঞ্চলের বাসিন্দা বিশ্বজিত্‍ পোদ্দার (২৯)। পেশায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পরিবেশ দফতরের কর্মী তিনি। গল্পের শুরুটা ছিল ২৩ জুলাই। বীরভূম জেলার তারাপীঠ থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন বিশ্বজিত্‍। প্রথমে তারাপীঠ থেকে বর্ধমানের লোকাল ট্রেনে ওঠেন তিনি। আর সেই ট্রেনের কামরায় যুবকের ঠিক উল্টো দিকের আসনে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে বসেছিলেন গল্পের নায়িকা। এদিকে তরুণীটিকে এক দেখাতেই মনে ধরে যায় বিশ্বজিতের।

তবে মেয়েটি যে খুব সুন্দরী তা নয়। তবু বারে বারেই চোখ পড়ে যাচ্ছিল তার উপর। কিন্তু মুখ ফুটে সে কথা বলতে পারেননি ওই যুবক। অতঃপর যে যার গন্তব্যে নেমে যায়। কিন্তু মনের আবেগকে আর চেপে রাখতে পারেনি বিশ্বজিত্‍। অগত্যা বেছে নিল এক অভিনব পথ। নিজের ছবি সহ চার হাজার পোস্টার ছাপিয়ে হুগলির কোন্নগর থেকে বালি পর্যন্ত লাগিয়ে দেন তিনি। পোস্টারে বড় বড় অক্ষরে লেখা হয় ‘কোন্নগরের কনে’। আর ঠিক তার নিচে বিশ্বজিতের ফোন নম্বর।

স্বপ্ন সুন্দরীর খোঁজে পোস্টারে আরও লেখা হয়, ‘চিনতে পেরেছো তো? সেই দিন দেখা হয়েছিল ট্রেনে। আই উইল বি ওয়েটিং ফর ইউ’। পাশাপাশি ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি করেন বিশ্বজিত্‍। এরপর ১৪ আগস্ট তা ইউটিউবে আপলোডও করে দেওয়া হয়।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বিশ্বজিত্‍ বলেন, ”আমার তাকে অপমান করার কোনও রকম ইচ্ছা নেই। এমনকি ওকে কোনও ভাবে বিপদে ফেলতেও চাই না। আমি শুধু তাকে জানাতে চাই, আমি তাকে খুঁজছি। আর যদি তার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। তাই এই ব্যবস্থা করা।” -কলকাতা টুয়েন্টিফোর