ধ্বংসস্তূপে শেষ সম্বল খুঁজছে সব হারানো বস্তিবাসী

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মিরপুর-৭ নম্বরের পুরো বস্তি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। আগুনে সব হারিয়ে নিঃস্ব তারা। অনেকে ধ্বংস স্তূপের মধ্য থেকে খুঁজছেন কিছু অবশিষ্ট আছে কিনা। এদিকে, সরু রাস্তা ও বস্তিতে ঢোকার একটি মাত্র পথ থাকায় আগুন নেভাতে কিছুটা সময় লেগেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া দাহ্য পদার্থ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এবং ক্রুটিপূর্ণ গ্যাস লাইনের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানায় তারা।

বিল্লাল হোসেন। কাজ করেন একটি সরকারি কোম্পানির গাড়ি চালক হিসেবে। অগ্নিকান্ডের সময় ছিলেন বস্তির বাইরে, খবর পেয়ে ছুটে আসলেও কিছুই বাঁচাতে পারেননি। বিল্লালের মতো এমন আরো অনেকেই ধ্বংসস্তূপের মাঝে খুঁজে ফিরছেন নিজেদের শেষ সম্বলটুকু।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন থেকেই এই দুর্ঘটনার সূত্রপাত। এর আগেও এই বস্তিতে বিদুৎ লাইন থেকে আগুন লেগেছিল বলে জানায় তারা।

বিষয়টি স্বীকার করে ফায়ার সার্ভিস বলছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদুৎ এবং গ্যাস লাইনের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘এখানে অনেক গ্যাসের সংযোগ ছিল। যার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে।’

অবৈধ গ্যাসের লাইনের বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, বস্তিতে বৈধ গ্যাস লাইনের সুযোগ নেই।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

মিরপুরের চলন্তিকা বস্তির আগুনে প্রায় ৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।