নওগাঁয় প্রতিবেশীদের চক্রান্তে অবরুদ্ধ সাইদুরের কৃষি খামার
নওগাঁ সদর উপজেলার কির্তীপুর ইউনিয়নের শালুকান গ্রামে কৃষি উদ্যোক্তা সাইদুর রহমানকে ৯ বছর যাবত অবরুদ্ধ রেখেছেন কুপিন ও বকুল হোসেন নামে দুই প্রভাবশালী।
তাদের চক্রান্তে অবরুদ্ধ সাইদুরের কলা বাগান এবং পুকুর বন্ধ হওয়ার পথে। বাগানের কোন ফল ও পুকুরের মাছ তাকে আনা নেয়া করতে দিচ্ছেন না দুই প্রভাবশালী। এতে ওই এলাকায় বড় ধরনের আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি হতে পারে বলছেন স্থানীয়রা। দ্রুত বিষয়টি সমাধানে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কৃষক সাইদুর।
এসিল্যান্ড অফিসে তিনি অভিযোগ করেছেন গত ১৪ মে। অভিযোগে উল্লেখিত বিষয় ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি এক সময় বাংলাদেশ সেনাবাহীনির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে অবসরে এসেছেন। প্রায় ৩০ বছর যাবত খামারটি তিনি পরিচালনা করছেন। ৫ বিঘার খামারে পুকুর এবং কলা, লেবুসহ বিভিন্ন ফলের বাগান রয়েছে। বাগানের জিনিসগুলো তিনি পাশের কির্তীপুর টু বালুভরা রোড হয়ে আনা নেয়া করতেন। তার বাগান থেকে ৪০ গজের মধ্যে ওই রাস্তা। প্রতিবেশী কুপিন ও বকুল হোসেনের জমির পাশ দিয়ে যেতেন তিনি। ৯ বছর ধরে ওই রাস্তা তারা বন্ধ করে রেখেছেন। বর্তমানে এতে করে বাগান নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছেন কৃষক সাইদুর। চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েও সমাধান না হওয়ায় এসিল্যান্ডের কাছে সর্বশেষ অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
বিষয়টি তার প্রতেবেশীরাও অবগত। প্রতিবেশীদের মধ্যে বেবি বেগম বলেন, এই গ্রামের সবাই প্রায় এমন। কেউ কাওকে যাওয়ার রাস্তা দিতে চান না। সাইদুরের প্রতি অন্যায় করছেন সবাই।
আরেক প্রতিবেশী হরেন কুমার বলেন, সাইদুরের বাগান করার পর থেকেই তাকে ওই পথে চলাচলে বাঁধা দেয়া হতো। এখন একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ঝামেলা সবসময় বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে এখানে আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, একমাত্র চলাচলের পথ বন্ধ থাকায় ঝামেলায় পড়েছি। ৯ বছরেও সমাধান হচ্ছে না। কলা ও মাছ বাজারে নেয়াতে সমস্যা হচ্ছে। দুই জমির মালিক আতাত করে আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এটি করছেন। ওই পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। এভাবে চলতে থাকলে আমার খামার বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। খামার রক্ষায় এসিল্যান্ড স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এখন কি হয় দেখি।
অভিযোগের বিষয়ে কুপিন ও বকুল হোসেন বলেন, সাইদুরের মাছ ও ফল পরিবহনের রাস্তা দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব নয়। আমাদের জমির উপর দিয়ে অথবা পাশ দিয়ে তাকে যেতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে সে বিকল্প পথে যাতায়াত করুক।
নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই উদ্যোক্তার চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হয়রানি করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন