নেত্রকোনার মদনে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

নেত্রকোণা মদন উপজেলায় অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ঘর-বাড়ি, শাকসবজি ও মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (২১ মে) বিকালে কাল বৈশাখী ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় গাছ-পালা ভেঙ্গে মানুষ আহত হয়েছে।

উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের বাসিন্দা দীন ইসলাম মিয়া বলেন, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে গাছের সব আম ঝরে গেছে। আম ও লিচু গাছের ডাল-পালা তছনছ হয়ে গেছে।

শাহাপুর পূর্বপাড়ার শাজাহান মিয়া জানান, সবুজ বাজারে আমার একটি দোকান ঘরসহ মোট তিনটি টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে।

চানগাঁও ইউনিয়নে চায়না বেগম, রাইছ উদ্দিন, আঃ কাইয়ুম, আজিজের ঘর ভেঙ্গে গেছে।উপজেলা পুরাতন পাবলিক হল রুমের ঘর ভেঙ্গে যায়।

এছাড়াও মদন পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের আনোয়ারা (৪৫), কুলিয়াটি গ্রামের পারভিন আক্তার(৫০), শিবাশ্রম গ্রামের আঃ হান্নান ঝড়ে আহত হয়।

নেত্রকোণা (মদন) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোঃ ফিরোজ হোসেন জানান, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাইটাইল, নায়েকপুর, গোবিন্দশ্রী ও খালিয়াজুরিতে ৪ টি বিদ্যুৎতের খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে, মদন ফায়ার সার্ভিস ও আমাদের লোকেরা যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে পাট ক্ষেতসহ সবজি বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মদন পৌরসভা মেয়র মোঃসাইফুল ইসলাম সাইফ
জানান, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সবজি বাগান ওমৌসমি ফল সহ কাঁচা ঘর গাছ পড়ে ভেঙ্গে যায়,এতে অনেকেই আহত হয়। ৯ নং ওয়ার্ড়ে মসজিদের চালা উড়ে যায়। ঝড়ে পৌরসভার ব্যাপক
ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া জানান, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি দেখভাল করার জন্য তাৎক্ষণিক একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা প্রশাসনের টিম মাঠে কাজ করছে।