নওগাঁর দুবলহাটি ভুমি অফিসের দুই কর্মকতার জিম্মি সেবাগ্রহীতার প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহিন, বলে প্রেস ব্রিফিং

নওগাঁর দুবলহাটি ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তায় জিম্মি সেবাগ্রহীতারা ও সেবা দেয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে গলাকাটা ফ্রি এমন শিরোনামে যে সংবাদটি জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রতিকায় প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জানান দুবলহাটি ভুমি অফিসের দুই কর্মকতা রাসেল হোসেন ও ফাতেমা খাতুন। তারা জানান, আমরা সরকারি বিধি মোতাবেক জমির খাজনা নিয়ে থাকি, একটি কুচক্রী মহল আমাদের দুবলহাটি ভুমি অফিসের সুনাম নষ্ট করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রকাশিত করেছে। সেই সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সেই সংবাদের তীব্র নিন্দা জানান দুই কর্মকর্তা ।

গত (১২) অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় সরজমিনে দুবলহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে ভূমি অফিসের কর্মকতরা সরকারের যে নির্দেশনা দেওয়া আছে সেই নির্দেশনা মোতাবেক জমির খাজনা নিচ্ছে। ভুমি অফিসের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মিঠু রানা, ওছমান গনীর ছেলে হেদায়েতু্ল্লা,মোয়াজ্জেম এর ছেলে রুবেল হোসেন, মুক্তার হোসেন ছেলে নাহিদ হোসেন, ও আজিজুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান বলেন,আমরা জমি খারিজ করার জন্য আসছিলাম ভূমি কর্মকর্তা সব কাগজপত্র দেখে সরকারি নির্ধারিত ফ্রি অনুযায়ী আমাকে খাজনা দিতে বলেন।

দুবলহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে ভূমি সেবাপ্রত্যাশীরাদের কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। দুই উপসহকারী কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন এবং রাসেল হোসেনের বিরুদ্ধে যে সংবাদবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা বলে মনে করেন সেবা প্রত্যাশীরা।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুবলহাটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই । এখন অনলাইনে আবেদন এবং অনলাইনের মাধ্যমেই সবকিছু হয়, তাই এখন খাজনা খারিজ করতে অতিরিক্ত ফ্রি নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে কেউ অভিযোগ করলে সেটা বিবেচনা করে দেখব।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম রবিন শীষ বলেন, ‘ভূমি অফিসে সরকারি ফির বাইরে অতিরিক্ত কোনো টাকা নেয়ার সুযোগ নেই।