নওগাঁয় র্যাবের অভিযানে অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগে এনজিও পরিচালকসহ ২ জন গ্রেফতার
নওগাঁয় র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে কথিত এনজিও সাকো (SACO) এর নির্বাহী পরিচালকসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
র্যাব-৫ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানাগেছে, র্যাব প্রাতিষ্ঠানিক সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষক মামলার আসামিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোঃ মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার সাড়ে ৩টায় নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার সরাইগাছি বাজার এলাকা হতে ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে কথিত এনজিও সদস্য সরাইগাছীর মোঃ আফজাল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা(২৯), একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন(৫৭), কে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ জহুরুল ইসলাম ও মোঃ তোফাজ্জল হোসেন সরাইগাছি বাজারে একটি অফিস ভাড়া নিয়ে সাকো (SACO) নামে একটি এনজিও খুলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মাসিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে জুডিশিয়াল ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এফ ডি আর খুলে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে। শুরুতে অনেক ব্যক্তিকে প্রথম দুই এক মাস মুনাফা প্রদান করে এবং পরবর্তীতে মুনাফা প্রদান করা বন্ধ করে দেয়। ফলে গ্রাহকেরা তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করে। এরকম ভুক্তভোগীদের মধ্যে মোঃ শাহাবুদ্দিন, আমিনুল ও আমানুল্লাহ সাকো এনজিওকে সাড়ে দশ লক্ষ টাকা এই মর্মে প্রদান করে যে, প্রতি মাসে তাদের লাখে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
এরপর কথিত সাকো এনজিও এর এমডি মূলহোতা মোঃ মাসুদ রানা ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ জহুরুল ইসলামের কাছে মুনাফা চাইতে গেলে তারা টাকা প্রদানে টালবাহানা শুরু করে। পরে আসল টাকা ফেরত চাইলে আজ দেব কাল দেব বলে কালক্ষেপণ করে কিন্তু টাকা ফেরত দেয় না। এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলার সাপাহার ও পোরশার প্রায় আট দশ জন ভুক্তভোগী র্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে এসে তাদের সাথে সাকো এনজিও প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করে। এই অভিযোগের ভিত্তেতে র্যাব-৫, জয়পুরহাট ছায়া তদন্ত শুরু করে। গত সোমবার ১৩-০২-২০২৩ ইং তারিখে র্যাব-৫ জয়পুরহাট নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত (সাকো) এনজিওর এমডি মোঃ মাসুদ রানা ও মোঃ জহুরুল ইসলাম সবকিছু বিক্রি করে ১৬-০২-২০২৩ তারিখে পালিয়ে যাবে।
র্যাব-৫, জয়পুরহাট এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে। এরপর সরাইগাছি বাজারে গিয়ে হাতে নাতে জুডিশিয়াল ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ সাকো এর এমডি মোঃ মাসুদ রানা, ও মাঠকর্মী মোঃ তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ জহুরুল ইসলাম র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভূক্তভোগীরা বাদী হয়ে নওগাঁ জেলার পোরশা থানায় গ্রেফতারকৃত আসামীগণের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা দায়ের করেন বলে র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন