নথি গায়েব: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৪ কর্মচারী বরখাস্ত

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭ নথি গায়েবের ঘটনায় ৪ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

এর আগে নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের ৯ জন কর্মচারী ও একজন ঠিকাদারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ ছাড়া নথি গায়েবে রহস্য উদঘাটনে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর ও তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।

কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- যুগ্ম সচিব মো. আহসান কবীর (চিকিৎসা শিক্ষা, অতিরিক্ত দায়িত্ব ক্রয় ও সংগ্রহ অধিশাখা) এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের।

গত ২৮ অক্টোবর নথিসহ ফাইল হারানোর বিষয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে মন্ত্রণালয়। ফাইল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওই দিনই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ‌ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে যান।

সিআইডির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। জিডি করার ৪৮ ঘণ্টা পরও ফাইলগুলো কে সরাল, সে সম্পর্কে কিছুই নিশ্চিত করতে পারেনি মন্ত্রণালয় বা পুলিশ কোনো পক্ষই।

মন্ত্রণালয় যে জিডি করেছে তাতে বলা হয়ে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো খোয়া গেছে সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত।

জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, রিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়-সংক্রান্ত নথি।

এর বাইরেও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে।