নরসিংদীতে কঠোর লকডাউনেও মহাসড়কে চলছে বাস!

নরসিংদীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যে নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে।

৩ জুলাই শনিবার জেলখানা মোড় এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মিতালী নামক বাস পরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া খোলা ট্রাক ব্যবহার করে নিম্নআয়ের মানুষ যাতায়াত করছেন। এতে বৃষ্টিতে ভিজে মানুষকে খোলা ট্রাকে যেতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয় চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ব্যক্তিগত গাড়িও চলাচল করছে।

সরকার সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে জরুরি সার্ভিস ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের নির্দেশনাও রয়েছে। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই স্বাভাবিক দিনের মতোই চলাচল করছে ব্যক্তিগত যানবাহন, বাস, খোলা ট্রাক ও পিকআপ। তবে রাতের দিকে মহাসড়কে বাসের সংখ্যা একটু বেশি থাকে।

মিতালী পরিবহন নামক বাস থেকে নামা যাত্রী শাহিনুর আক্তার বলেন, আমি ভৈরব থেকে ১০০ টাকা দিয়ে ইটাখোলা এসেছি। ভৈরব থেকে আসার পথে ২ জায়গায় পুলিশ চেক পোস্ট ধরেছিল। এরপর ড্রাইভার গাড়ী থেকে নেমে হাত থেকে কিছু একটা দেওয়ার পর গাড়ী সাথে সাথে ছেড়ে দেয়।

একই পরিবহনের যাত্রী মাছ বিক্রেতা মোঃ আসাদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি ভৈরব থেকে মাছের খারি নিয়ে এসেছি ৫০০ টাকা দিয়ে। আমার মতো অনেক যাত্রীই জীবিকার তাগিদে ভৈরব থেকে মাছ নিয়ে এসেছে এই পরিবহন দিয়ে। কিন্তু অতিরিক্ত হারে ভাড়া দিতে হচ্ছে।

মহাসড়কে চলাচল করা চালকরা জানান, রাতে প্রশাসনের তেমন নজরদারি থাকে না। অনেক সময় মানবতা দেখিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়। যে কারণে রাতে পরিবহন চালানো সুবিধা।

তবে দিনেরবেলায় প্রশাসনের নজরদারি বেশি থাকে। ফলে জেল জরিমানার ভয় থাকে। তারা আরও জানান, জীবিকার তাগিদে এভাবেই লুকোচুরি করে পরিবহন চলাতে হবে নইলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।

মহাসড়কে বাস চলাচল করছে না জানিয়ে জেলাখানার মোড়ের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জানান, মহাসড়কে টহল জোরদার করা হয়েছে। চেকপোস্টগুলো থেকে নিয়মিতই এসব যানবাহনকে মামলা দেওয়া হচ্ছে আর কিছু গাড়িকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।