নরসিংদীতে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ায় কৌশলে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার মামলা
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরনগরদী গ্রামের তামান মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৌসুমী বেগম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা করে তাদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়ে অর্থ হাছিল করা অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, ২০১৭ সালে ইসলামের শরাশরীয়তের বিধান মোতাবেক নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মাঝেরচর গ্রামের মোঃ শুক্কুর আলীর পুত্র আল আমিন মিয়ার সাথে মৌসুমী বেগমের বিবাহ কাজ সম্পন্ন হয়। বিবাহের কিছুদিন যেতে না যেতেই বেরিয়ে আসে মৌসুমী বেগমের আসল চরিত্র। সে তার স্বামীর অজান্তে একাধিক পুরুষের সাথে মোবাইলে কথা সহ দেখা করত। এমনকি বিভিন্ন পর পুরুষের সাথে সে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মৌসুমী বেগমের স্বামী আল আমিন মিয়া তার কু-কীর্তি হাতে নাতে ধরে। পরবর্তীতে মৌসুমী বেগমকে অনেক বুঝালেও সে কোন কিছু না বুঝে তার স্বামী সন্তানের সাথে সর্বদা খারাপ আচরণ করতে থাকে। এমনকি মৌসুমী বেগম তার স্বামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে মর্মে অনেক হুমকি দিচ্ছিল।
এক পর্যায়ে মৌসুমী বেগমের স্বামী কোন উপায় না পেয়ে তাকে ২০১৯ সালের ২০ ই সেপ্টেম্বর শরীয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রার সহ ডিভোর্স প্রদান করেন। আর এই ডিভোর্সই আল-আমিন মিয়ার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়।
এই ডিভোর্সের জের ধরে মৌসুমী বেগম ২০২১ ইং সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর আল-আমিন মিয়ার বিরুদ্ধে নরসিংদীর বিজ্ঞ নারী ও শিশু দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ১৫২/২০২১ ইং, ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী- ২০০৩) এর ৯ এর ৪(খ)/৩০। মামলায় বলা আছে যে, মৌসুমী বেগমকে নাকি তার সাবেক স্বামী ধর্ষনের চেষ্টা করেছে। অথচ এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক বলে দাবী জানিয়েছেন মৌসুমী বেগমের সাবেক স্বামী আল আমিন মিয়া। আল-আমিন মিয়া আরো বলেন, যেহেতু মৌসুমী বেগমের গর্ভে এবং আমার ঔরষে একটি সন্তান রয়েছে ও আমি মৌসুমীকে স্ব-ইচ্ছায় ডিভোর্স দিয়েছি সেক্ষেত্রে আমি কোন দুঃখে তাকে ধর্ষন করতে যাবো। প্রকৃত পক্ষে, এটি কৌশল খাঁটিয়ে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে আমার নামে এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
বর্তমানে, মৌসুমী বেগমের পালিত সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আল-আমিন মিয়াকে হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। তাছাড়া বিগত সময়ে আল-আমিন মিয়ার বাগানে থাকা অনেক কলাগাছও কেঁটে ফেলেছে। পরবর্তীতে আল-আমিন মিয়া কোন উপায় না পেয়ে পলাশ থানায় একটি জিডি করেন। যাহার জিডি নং- ৩০৮, তারিখ: ০৭/০৬/২০২১ ইং।
এ বিষয়ে সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্র, মৌসুমী বেগমের ৩টি স্পটে গিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি। তাছাড়া তাকে মোবাইল ফোনেও পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে আমরা মৌসুমী বেগমের আশ পাশের ভাড়াটিয়াদের কাছে তার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক মহিলা বলেন, মৌসুমী একজন দুশ্চরিত্রা মহিলা। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা করত। এই দুশ্চরিত্রা নারীর কারণে অনেক মানুষের সংসার ভেঙ্গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন