নরসিংদীর ৬ উপজেলার হাটে চড়া দামে হচ্ছে লিচু বিক্রি

নরসিংদীতে গ্রীষ্মের রসালো মিষ্টি ফল লিচু বাজারে উঠতে শুর করেছে। সদ্য বাজারে ওঠা এই ফল কিনতে মানুষ ভিড় করছে নরসিংদীর ফলের দোকানগুলোতে। পাশাপাশি যেহেতু রমজান মাস তার কারণে প্রচুর চাহিদা রয়েছে লিচুর। সারাদিন তৃষ্ণার পর ইফতারে একটু মিষ্টি টক যেন তৃষ্ণা মেটায় সবারই।

রোজার মাস, তার ওপর গরম; এমন সময়ে লিচুর কদরও রয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম ভালো পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা গ্রামাঞ্চল থেকে কিনে শহরে এনে বাজারে বিক্রি করছেন। জ্যৈষ্ঠের ফল লিচু বৈশাখের শেষেই নরসিংদী জেলার প্রতিটি উপজেলা ও গামাঞ্চলের বাজারে উঠেছে। মিষ্টি স্বাদের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত লিচু বিক্রিও হচ্ছে ভালো। তবে কৃষি অধিদপ্তরের বলছে, আরও ১০ দিন লাগবে লিচু পুষ্ট ও স্বাদযুক্ত হতে। কিন্তু অনেকে বেশি দাম পাওয়ার আশায় আগাম লিচু তুলে এনেছেন বাজারে। সম্প্রতি নরসিংদী সদর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের উপজেলার বাগান থেকে বিক্রেতারা লিচু নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। গাছ থেকে সদ্য পেড়ে আনা লিচুগুলো রসে ভর্তি।

মিষ্টি স্বাদের এসব লিচু ১০০টি বিক্রি হচ্ছিল৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। আরমান মিয়া নামের একজন বিক্রেতা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে শিবপুর উপজেলায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে কিছু কিছু বাগানে আগাম লিচু পাকতে শুর করেছে। বাগান মালিকেরা লিচু নিয়ে বাজারে পাইকারি বিক্রি করছেন। রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের বটিয়ারা গ্রামের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছ থেকে লিচু পাড়ছেন কয়েকজন শ্রমিক। বাগানের মালিক তাইজুদ্দিন মিয়া নিজে দাঁড়িয়ে থেকে লিচু পাড়ার তদারকি করছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিপাত হওয়ায় বাগানের কয়েকটি গাছে লিচু পাকতে শুর করেছে।

আগাম লিচুর বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়। সে কারণে বাগানের তিনটি গাছের লিচু পেড়ে বাজারে নেবেন। প্রতি ১০০টি লিচুতে এক থোকা হয়, যা স্থানীয়ভাবে শতক হিসেবে বিক্রি হয়। বাজারে একশতকের দাম পড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। তাইজুদ্দিন মিয়ার বাগানে চায়না-১, চায়না-২, চায়না-৩ ও বোম্বাই জাতের লিচুর চারা লাগিয়েছেন।সাল থেকে তাঁর বাগানে লিচুর ফলন আসছে।

এ বছরে ১২টি গাছের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬ টি গাছে লিচু এসেছে। জেলা কৃষি কর্মকর্তা রদ্রকে জানান, নরসিংদীর আম ও লিচুর স্বাদ অন্যান্য এলাকা থেকে একটু বেশিই। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।