নারীদের টাক সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে যে পাতা
চুলের সমস্যায় নেই এমন নারী খুঁজে বের করা মুশকিল। কারো কারো চুল পড়ে যাচ্ছে আবার কারো টাক পড়ছে আর খুশকির সমস্যাতো নিত্য দিনের। অনেকের চুল আবার রুক্ষ হয়েও যাচ্ছে। চুল মানুষের একটা বড় সৌন্দর্য।
প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততায়, ধুলো-বালি আর অনিয়মের জন্য চুলের নানাবিধ সমস্যায় ভুগছেন প্রায় ৯৮ ভাগ নারী। আবার কেউ কেউ চুলে আয়রন বা কালারা করেও করছেন চুলের দফারফা।
তাই আজ চুলের যত্নে আর নতুন গজানো ও টাক হওয়া থেকে রক্ষা করতে কারি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
১। হেয়ার টনিক : নারকেল তেলের মধ্যে কারি পাতা দিয়ে জ্বালাতে থাকুন যতক্ষণ না কালো তলানি তৈরি হবে। এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় ভালো করে ঘষে নিন। এক ঘণ্টা রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই বার এই মিশ্রণ মাথায় লাগান। চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে। পেকে যাওয়াও রোধ করতে পারে এই থেরাপি।
২। হেয়ার মাস্ক : কয়েকটা কারি পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট মাথার তালুতে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখুন। পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন কারি পাতার মাস্ক লাগালে চুল বাড়বে, কোমল হবে।
৩। কারি পাতার চা : শুনতে অদ্ভুত লাগলেও কারি পাতার চা চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। কারি পাতা ফুটিয়ে লেবুর রস ও সামান্য চিনি দিন। টানা এক সপ্তাহ এই চা খেয়ে দেখুন। এই চা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, চুল পাকার হাত থেকেও রেহাই দেয়।
এছাড়াও কারি পাতার মধ্যে থাকা প্রোটিন ও বিটা-ক্যারোটিন চুল পড়া রুখতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট তালুর আর্দ্রতা বজায় রাখে, খুশকির হাত থেকে রক্ষা করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন