নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হবে কার্ডিয়াক স্টেন্ট : ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর
ডিসেম্বরে সর্বশেষ সমন্বয় করা দামেই কার্ডিয়াক স্টেন্ট (হার্টের রিং)-বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ)। কেউ এ সিদ্ধান্ত মেনে না চললে তাদের বিরুদ্ধে ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিকস আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল আলম।
বৈঠক শেষে নুরুল আলম বলেন, ‘গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হার্টের রিংয়ের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, সে দামেই বিক্রি করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাম নির্ধারণ কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘কমিটি এর আগে হার্টের রিংয়ের দাম নির্ধারণ করেছে সেটিই থাকবে। নতুন করে দাম কমছে না বা বাড়ছে না। এরপর দামের বিষয়ে কোনো আলোচনার প্রয়োজন হলে স্টেন্ট আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করবে না ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, মূল কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে বসবে।’
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওষুধের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। ওষুধ ও হার্টের রিং, উভয়ের দাম নির্ধারণেই ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কর্মকর্তারা বৈঠক বসেছে। দাম কমাতেই হবে।’
অন্যদিকে, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ২৭টা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৪৪ ধরনের হার্টের স্টেন্টের দাম কমিয়েছে ডিজিডিএ। রিং প্রতি ৩% থেকে ৪৬% পর্যন্ত দাম কমিয়েছিল ডিজিডিএ।
কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দিন থেকেই (১৬ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় স্টেন্ট আমদানিকারকরা দাম পুনর্নিধারণের দাবি জানিয়ে হাসপাতালগুলোকে তাদের রিং ব্যবহার না করার জন্য চিঠি দিয়েছে।
আমদানিকারকদের এই সিদ্ধান্তের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
হার্টের রিংয়ের দাম পুনর্নির্ধারণ বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে নতুন করে নাম নির্ধারণের জন্য হাইকোর্টে রিটও করেছিলে ইউরোপীয় স্টেন্ট আমদানিকারকেরা। তবে দাম পুনর্নিধারণের বিষয়ে ডিজিডিএ’র আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ জানুয়ারি রিট প্রত্যাহার করে নিয়েছিল তারা।
স্বাস্থ্যসচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বৈঠকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন