নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে ফেরার পথে ট্রলার ডুবে পুলিশসহ নিখোঁজ ৩

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চর হোগলা এলাকায় ভোট শেষে নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে ফেরার পথে মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মেঘনা শাখার ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন, পুলিশের টিএসআই সেলিম ও অজ্ঞাতনামা নারী আনসার সদস্য।

নিখোঁজদের সন্ধানে র‍্যাব, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ সদস্য ও নারী আনসারসহ ১৯ থেকে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।

বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্বাচনী দায়িত্ব শেষে নদী পথে চর কিশোরগঞ্জের বালুর ঘাট থেকে সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয় ট্রলারটি। ট্রলারটি মাঝ নদীতে আসার কিছুক্ষণ পরই ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে কাজ শুরু করেছে। তবে ওই ট্রলারে কতজন ছিল তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ট্রলারটি উল্টে যাওয়ার পর অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

তবে নদী উত্তাল থাকায় ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী এবং আনসার ও পুলিশের অস্ত্রের খোয়া গেছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফতুল্লার পাগলা স্টেশনে কোস্টগার্ডের সাব-লেফটেন্যান্ট এম মমতাজুল আসিফ জানান, নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে মেঘনা নদীতে ট্রলার উল্টে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে আর কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে কতজন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তা ছিলেন তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

র‍্যাব-১১-এ কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৬ জন তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। তার মধ্যে একজন পুলিশের সদস্য রয়েছে। অস্ত্র ও গুলি এবং ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রীর কী হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।