নির্বাচনের আগেই ডিসি পদে ব্যাপক রদবদল!

আর চার মাস পরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেই জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে ব্যাপক রদবদল হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি নতুন ডিসি নিয়োগের জন্য ফিট লিস্ট তৈরি করছে সরকার। ভোটের আগেই নতুন ডিসি নিয়োগ এবং বেশ কিছু জেলার ডিসিকে পদন্নোতি দেয়া হবে বলেও বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।

প্রায় ৩০ জেলায় ডিসি রদবদলের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি শাখা। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ডিসি সম্মেলনের পরেই মূলত নতুন ডিসি পদায়ন ও বদলি করবে মন্ত্রণালয়।

ইতোমধ্যে ভাইভায় অংশ নিতে একটি নোটিশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ অধিশাখা। এতে ২৫৮ জন উপ-সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। গত ২৯ জুন থেকে ডিসি ফিট লিস্টের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২১ জুলাই।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন ৫৮ জন উপ-সচিবের ভাইভা নেয়া হয়েছে। এরপর ৩০ জুন ৫৬ জন, ১ জুলাই ৫৬ জন এবং ২১ জুলাই বাকি সব উপ-সচিবের ভাইভা নেয়া হবে।

এবার ডিসি ফিট লিস্টের ভাইভার জন্য ১৮, ২০ ও ২১ ব্যাচের উপ-সচিবদের ডাকা হয়েছে। প্রতি বছর ডিসি ফিট লিস্টের ভাইভায় তিনটি ব্যাচ করে ডাকা হয়। এজন্য এবারও সমান সংখ্যক ব্যাচকে ডাকা হয়েছে।

তবে জেলা প্রশাসক পদে কবে থেকে নিয়োগ দেয়া হবে এবং এবার কতজনকে নিয়োগ দেয়া হবে বিষয়টি নিশ্চিত করে আগে থেকে কেউ বলতে পারছেন না।

আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কঠিন চ্যালেঞ্জটি প্রশাসনেরই মোকাবেলা করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে এবার ডিসিদের ফিট লিস্ট তৈরি হচ্ছে।

এই তালিকা তৈরিতে মূলত কর্মকর্তাদের মাঠ প্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতা, শারীরিক যোগ্যতা, দক্ষতা ও যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষমতা দেখা হয়। এ তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরই মাঠ প্রশাসনে রদবদল শুরু হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি অনুবিভাগ) শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ডিসি ফিট লিস্ট করা প্রশাসনের একটি রুটিন কাজ। এখন ডিসি ফিট লিস্টের জন্য ভাইভা চলছে। আগামী ২১ জুলাই ভাইভা শেষে জানা যাবে কতজন নিয়োগ পাবেন।

নির্বাচনের আগে কি ডিসিদের নতুন পদায়ন কিংবা বদলির সম্ভাবনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, এটা এখনো সঠিকভাবে বলা যাবে না। ফিট লিস্ট সম্পূর্ণ হলেই এ বিষয়ে জানতে পারবেন। তবে আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই একটা কিছু হবে।

প্রত্যেক জাতীয় নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসনের সু-শৃঙ্খল অবস্থা ফিরিয়ে আনতে মূলত জেলা প্রশাসকদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হয়। বর্তমান সরকারের জাতীয় নির্বাচন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই কাজ করছে। ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই একাদশ সংসদ নির্বাচন করা হবে।

তবে নির্বাচনকালীন সরকারের আকার অনেক ছোট বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আগামী অক্টোবরে এই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেক্ষেত্রে ডিসিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।