নির্বাচনে কারচুপির তথ্য ফাঁস পাকিস্তানি কমিশনারের

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী দেশটির কোনও দলই সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২টি আসন, নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ ৭৫টি এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি ৫৪টি আসনে জয় লাভ করে। পিটিআইসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পরাজিত প্রার্থীরা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।

এবার সেই অভিযোগের সত্যতা ফাঁস করলেন দেশটির রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চাট্টা।
তিনি স্বীকার করেছেন, তার ‘শহরে নির্বাচনী ফলাফলে কারচুপি হয়েছে।’ এ ঘটনায় দায় স্বীকার করে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

লিয়াকত আলী রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের এই ‘অন্যায় আচরণের বিচার’ দাবি করেছেন।

রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, রাওয়ালপিন্ডি থেকে ১৩ জন প্রার্থীকে জোরপূর্বক বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

লিয়াকত আলী বলেন, “আমরা পরাজিত প্রার্থীদের ৫০ হাজার ভোটে এগিয়ে রেখেছিলাম। আমি রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের প্রতি অবিচার করেছি।”

তিনি বলেন, আজ (শনিবার) ফজরের নামাজের পর আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তখন ভাবলাম, আমি কেন নিষিদ্ধ মৃত্যুবরণ করব? সবকিছু মানুষের সামনে তুলে ধরছি না কেন?”

তিনি বলেন, “আমি রাওয়ালপিন্ডি বিভাগে নির্বাচনী কারচুপির দায় স্বীকার করছি এবং পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করছি।”

রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার জানান, তিনি শহরে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন কিন্তু ‘দেশের পিঠে ছুরি মেরে’ তার উত্তরাধিকারকে কলঙ্কিত করার জন্য অনুতপ্ত।

তিনি বলেন, “এটা আমাকে রাতে ঘুমাতে দেয় না। না, আমি শান্তিপূর্ণ মৃত্যু চাই এবং আমি যা করেছি তার জন্য আমাকে শাস্তি পেতে হবে। আমার সাথে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।”