জাতীয় নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্য গণমাধ্যমে ভিন্নভাবে এসেছে দাবি করে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, সরকার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা করেছে। এই বক্তব্য ‘বিকৃতভাবে’ উপস্থাপন করাতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকার শাহজাহানপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস এ কথা বলেন।গত শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, ‘আমার বক্তব্যটা ছিল এ রকম—আওয়ামী লীগ জনগণের কোনো দাবি মেনে নেয়নি। ফলে বিএনপি নির্বাচনে যায়নি। জনগণের দাবি যদি মেনে নিতে বিএনপি নির্বাচনে যেত, কিন্তু তারা কোনো দাবি মানেনি। এই বক্তব্যটাই কয়েকটি পত্রিকা টুইস্ট করেছে।বহু কথাবার্তা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে, সে জন্য বিষয়টি পরিষ্কার করলাম।’
জামিনে মুক্তি পেলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনো পরোক্ষভাবে বন্দি বলে অভিযোগ করেন আব্বাস। তিনি বলেন, ‘বিএনপির সব নেতাকর্মীকে এখনো পরোক্ষভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এখন সবাই বন্দি আছে।কেউ এখনো স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারি না। এই ভয় লাগে কখন পুলিশ আসে, কখন নিয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তো সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়েছি। আমাদের তো আর খালাস করে দেয়নি। অসুস্থতার জন্য জামিন দিয়েছে।আমরা এখন ওই যে খাঁচা পোষা মুরগির মতো অনেকটা। যখন দরকার নিয়ে যাবে আবার।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশটা একটা বিপদের মধ্যে আছে। সরকারের কাছে দেশ লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। একজন মন্ত্রী বললেন, বরই দিয়ে ইফতার করেন। সেই মন্ত্রীর বোধহয় অভিজ্ঞতা নেই যে, খালি পেটে বরই খেলে যে কত মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।’
আব্বাস বলেন, ‘রমজান শুরু হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের শাসনামলে কোনো একটা সময় পাইনি যে এই দেশের লোক স্বস্তিতে রমজান পালন করেছে। আমি দেখলাম পত্রিকায় খবরটি এসেছে, গাজায় যেখানে নারকীয় হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেই গাজায়ও ঈদের মতো রমজান মাস শুরু করেছে। আমাদের দেশে সেই অবস্থা নেই।’