নুরের বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষার্থীর করা মামলার প্রতিবেদন ১৭ ফেব্রুয়ারি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে মামলার বাদীকে নিয়ে আশালীন মন্তব্য করায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ডিজিটাল আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

এদিকে, মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন দিন ধার্য করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসাম জগলুল হোসেন। বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

১৪ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসাম জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি করা হয়। নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে বাদী হয়ে মামলাটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১ ধারা অনুয়ায়ী তার বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা করা হয়। পরে মামলাটির পিবিআইকে তদন্ত করে ২৯ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

অভিযোগে বলা হয় ‘গত ১২ অক্টোবর নুর তার ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি মামলার বাদীকে ‘দুশ্চরিত্রাহীন’ বলেন। ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, ছি! আমরা ধিক্কার জানাই এত নাটক যে করছে সে দুশ্চরিত্রাহীন। ধর্ষণের নাটক করছে স্বেচ্ছায় একটি ছেলের সঙ্গে বিছানায় গিয়ে’। এই মন্তব্য বাদীর জন্য অপমানজনক ও মানহানিকর।

এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেন লালবাগ থানায়। সেই মামলায় আসামী করা হয় ছয়জনকে। পরেরদিন সন্ধ্যা সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ গেফতার করে নুরকে। ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আটক করা হয় ঢাবির সাবেক এই ভিপিকে। অতপর নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। সেখান থেকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলে হাসপাতালে। চিকিৎসা শেষে রাত ১২ টা ৩৫ মিনিটের দিকে ছেড়ে দেয়া হয় নুরকে।
এ ঘটনার পর ৮ অক্টোবর অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।