‘নুসরাতের শরীরে আগুন দেয় শাহাদত, জড়িত ৩ ছাত্র, ২ ছাত্রী’

নুসরাত জাহান রাফীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শাহাদত হোসেন শামীম। সে ছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত ছিলো আরো দুইজন ছাত্র ও দুই ছাত্রী। এদের মধ্যেই একজন নুসরাতকে ছাদে ডেকে আনে।

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের সদর দফতরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার দিন নুসরাত পরীক্ষা দিতে হলে প্রবেশ করলে একজন গিয়ে ‘নিশাত’ নামে এক বান্ধবীকে মারার মিথ্যা তথ্য দিয়ে নুসরাতকে ছাদে নিয়ে আসা হয়। ছাদে আগে থেকেই অবস্থান করছিলো বোরখা পরা ওই চারজন। তারা ছাদের ওয়াশরুমে সকাল থেকেই পালিয়ে ছিলো।

এদের মধ্যে শাহদাত হোসেন শামীম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিল। এই ঘটনায় শম্পা অথবা চম্পাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই বাইরে এসে বলছিল নুসরাতকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বলেন, ‘গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজদ্দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।’

‘এরপর নুর উদ্দিনসহ কয়েকজন অধ্যক্ষের সাথে জেলে দেখা করেন। আর সেখান থেকেই নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা করার নিদের্শ নিয়ে আসে।’